ডেস্ক রিপোর্ট: [২] নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা আবদুল ওহাব নামে এক বেকারির মালিককে তুলে নিয়ে দীর্ঘ প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পৌরসভা কার্যালয়ে আটকে রাথেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রধম আলো
[৩] তিনি ওহাবের কাছ থেকে কাদের মির্জা একটি সাদা স্ট্যাম্পে সই আদায় করে নিয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
[৪] ওহাব বসুরহাট তরকারি বাজারের মেসার্স ছাত্তার বেকারির মালিক। তিনি বলেন, আজ সকাল ১০টার দিকে বেকারিতে বসে ছিলেন। এ সময় আবদুল কাদের মির্জা তার দোকানে আসেন। এসেই তিনি তাকে একটি ঘুষি দেন। এরপর তার সঙ্গের লোকজনকে দিয়ে তাকে তুলে পৌরসভা কার্যালয়ে নিয়ে যান।
[৫] আবদুল ওহাব জানান, পৌরসভা কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় তাকে আটকে রাখেন। জুমার নামাজ শুরুর আগমুহূর্তে তার কাছ থেকে একটি সাদা স্ট্যাম্পে তিনটি সই নিয়ে তাকে ছেড়ে দেন।
[৬] অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে আবদুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। পরে তাঁর মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে ঘটনার বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়।
[৭] সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে কাদের মির্জার ফোন থেকে পরপর দুটি খুদে বার্তা আসে প্রথম আলোর প্রতিবেদকের মুঠোফোনে। প্রথমটিতে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চাওয়া হয়। নম্বর পাঠানোর আগেই হোয়াটসঅ্যাপে ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ পাঠানো হয়, যাতে ছাত্তার বেকারির মালিক বলেন, ‘মেয়র সাহেব আমার কাছে কোনো চাঁদা দাবি করেনি এবং আমাকে মারধরও করে নাই। একটি মহল বিভ্রান্তি করতেছে, এটার থেকে আপনার দূরে থাকুন।’ ভিডিওটি বেকারির ভেতরে সন্ধ্যায় ধারণ করা বলে মনে হয়েছে।
[৮] পরে ভিডিও ক্লিপে দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবসায়ী আবদুল ওহাব বলেন, ‘কাদের মির্জার লোকজন আমাকে প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রেখেছেন। তাঁর লোকেরা আমার দোকানে এসে চাপ প্রয়োগ করে চাঁদা দাবি না করার বিষয়ে বক্তব্য দিতে বাধ্য করেছেন এবং ভিডিওটি ধারণ করেছেন।’
[৯] খুদে বার্তা ও ভিডিও ক্লিপ পাঠানোর পর কাদের মির্জার মুঠোফোন থেকে এই প্রতিবেদকের মুঠোফোনে একটি কল আসে। অপর প্রান্তে অপরিচিত এক ব্যক্তি প্রতিবেদকের উদ্দেশে বলেন, ‘ভিডিও পাঠানো হয়েছে, তথ্যভিত্তিক রিপোর্ট করবেন।’
[১০] কাদের মির্জার ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে আটকে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, তিনিও ঘটনাটি শুনেছেন। তবে যে ব্যবসায়ীকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে, ওই ব্যবসায়ী কিংবা তাঁর পক্ষে কেউ থানায় এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :