জেরিন আহমেদ: [২] টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এ ঘটনাটি ঘটেছে।ওই কিশোরীকে ভারত পাচারের উদ্যোগ নেয় পাচারকারী দলের সদস্যরা। সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে আসে সে। পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যদের কাছে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে ওই কিশোরী।
[৩] কিশোরীর বাবা জুলহাস শেখ বাদী হয়ে আল আমিনকে প্রধান আসামি করে ট্রাক চালক মাসুম, আসকর মল্লিক, নজরুল মল্লিকের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে রোববার (১৭ অক্টোবর) টাঙ্গাইল আদালতে মামলা দায়ের করেন।
[৪] আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) তদন্তের নির্দেশ দেয়। এ ছাড়া ২০২২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
[৫] ভূঞাপুরের একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে ওই কিশোরী। মোবাইলের মাধ্যমে তার পার্শ্ববর্তী ঘাটাইল উপজেলার গৌরিশ্বর গ্রামের আসকরের ছেলে আল আমিনের (২৫) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
[৬] ২১ জুলাই কোরবানির ঈদের দিন বিকেলে ওই কিশোরী ও তার মায়ের সঙ্গে নানার বাড়ি ভূঞাপুরের পৌর এলাকার তেঘরী গ্রামে যায়। সেখান থেকে আল আমিনের টেলিফোন পেয়ে নানার বাড়ি থেকে আল আমিনের সঙ্গে ঘাটাইল উপজেলার চেংটা গ্রামে যায়। আল আমিন তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ওই বাড়িতে রেখে একটানা ২৫ দিন ধর্ষণ করে।
[৭] পরবর্তীতে ১৫ আগস্ট সে তার আত্মীয়ের বাসায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে আসে। বাসস্ট্যান্ডে আল আমিনের বন্ধু পাচার চক্রের সদস্য ট্রাক ড্রাইভার মাসুদের ট্রাকে তুলে দেয়। ১৬ আগস্ট ভোর ৫টার দিকে একটি ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় কিশোরীকে।
[৮] সেখানে তিন-চারজন মিলে মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে তিন-চারজন লোকের আলাপচারিতায় মেয়েটি বুঝতে পারে যে তাকে ভারতে পাচার করার পরিকল্পনা করছে। পরের দিন সে বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে ২৫ আগস্ট রাত ৮টার দিকে ওখান থেকে পালিয়ে রিকশাযোগে বেনাপোল বাসস্ট্যান্ড আসে। পরে সেখান থেকে ২৬ আগস্ট বাড়িতে চলে আসে।
[৯] মেয়ের বাবা জুলহাস জানান, আমার মেয়েটি বাড়িতে আসার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে পল্লী চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা করে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের ঘটনা অবহিত করি। পরে আসামিদের নাম ও ঠিকানা সংগ্রহ করে গত ১০ সেপ্টেম্বর আমার মেয়েকে নিয়ে ভূঞাপুর থানায় একটি অভিযোগ করতে যাই। ভূঞাপুর থানা পুলিশ মামলা না নেওয়ায় আদালতে মামলা করি।