জাকির আকন: [২] সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌরসভা নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার পর আবার নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় সাধারণ নাগরিকরা হতাশ। নির্বাচন কমিশন -২ পরিচালনার শাখার উপ সচিব মোঃ আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত পত্রে চূড়ান্ত সীমানা নির্ধারণ ও ভোটার তালিকা পুর্নবিন্যাসজনিত জটিলতার কারণে তাড়াশ পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন স্থগিত করেছে।
[৩] সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ অক্টোবর সন্ধায় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ৩য় ধাপে ১০০৭টি ইউনিয়ন পরিষদ এবং ৮ম ধাপের সাধারন নির্বাচনে সারা দেশে তাড়াশ পৌরসভাসহ ১০টি পৌরসভার নির্বাচন তফসিল ঘোষণা করেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২ নভেম্বর প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জমাদান ও ২৮ নভেম্বর তাড়াশ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। ১৯ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন -২ পরিচালনার শাখার উপ সচিব মোঃ আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত পত্রে চূড়ান্ত সীমানা নির্ধারণ ও ভোটার তালিকা পুর্নবিন্যাসজনিত জটিলতার কারণে তাড়াশ পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন স্থগিত করেন। নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পর পৌর মেয়র এবং ওয়ার্ড কমিশনার প্রার্থীদেও প্রচারণা ও দৌড়ঝাপ দেখা গিয়েছিলো। পৌরসভার ভোটার ও সাধারণ নাগরিক আনন্দ উৎফুল্ল প্রকাশ করেন। পৌরসভা নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার ৫দিন পরে নির্বাচন স্থগিত করায় প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ কমেগেছে। সাধারণ ভোটার ও নাগরিকরা হতাশা প্রকাশ করছে।
[৪] কলেজ শিক্ষক সুলতান মাহমুদ জানান, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকায় পৌরসভা শহরের নাগরিক সুবিধা নেই বলে চলে। ব্যবসায়ী ও পৌরসভার ভোটার খন্দকার শরিফুল ইসলাম জানান, পৌর মার্কেট, ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ পৌরসভার উন্নয়ন নেই তাই নির্বাচন হওয়া দরকার।
[৫] পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ শাহেদ খান জয় নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় প্রচারনা ও গণসংযোগের সময় বেশি পাওয়া যাচ্ছে । এ বিষয়ে তাড়াশ পৌরসভার সচিব মোঃ আশরাফুল ইসলাম ভুইয়া জানান, চূড়ান্ত সীমানা নির্ধারণ ও ভোটার তালিকা পুর্নবিন্যাস জনিত জটিলতার কারণে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন স্থগিত করেছে।
[৬] তাড়াশ পৌরসভার পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মেজবাউল করিম এর অফিসিয়াল ফোন নম্বরে কল দিলে তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সম্পাদনা: হ্যাপি