আয়াছ রনি: [২] কক্সবাজারের কুতুপালং বিলে দুষ্কৃতকারী সাদা বক ধরে বিক্রি করার সময় ৮৩টি সাদা বক উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগেও উখিয়ায় ১০ অক্টোবর ১২৭টি বক উদ্ধার করে অবমুক্ত করে।
[৩] রোববার (১৭ অক্টোবর) সকালে উখিয়া রেঞ্জেরউখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলমের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে বকগুলো উদ্ধার করা হয়।
[৪] পরে উখিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দীনের উপস্থিতিতে উদ্ধারকৃত সাদা বকগুলো উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবনে প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়।
[৫] এসময় উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম, বিট অফিসারসহ স্টাফগণ উপস্থিত ছিলেন।
[৬] বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সকালে উখিয়া রেঞ্জের কুতুপালং বিলে দুষ্কৃতকারী সাদা বক ধরে বিক্রি করার সময় বনবিভাগের লোকজন এসছে বুঝতে পেরে বিক্রয়কারীরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উদ্ধার করা সাদা বক রেঞ্জ হেফাজতে নিয়ে আসা হয়।
[৭] কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সারওয়ার আলম থাইংখালী এলাকায় পরিদর্শনে যাওয়ার পথে বালুখালীতে রোহিঙ্গা যুবকের হাতে ৬টি সাদা বক দেখতে পায়। এসময় গাড়ি থামাতে বললে পাচারকারী রোহিঙ্গা যুবক বকগুলো রেখে পালিয়ে যায়। পরে বকগুলো উদ্ধার করে রেঞ্জ অফিসের প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়।
[৮] কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সারওয়ার আলম বলেন, পরিবেশ রক্ষায় পাখি আমাদের সহায়তা করে। এখন শীত মৌসুম। দেশে অথিতি পাখিসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখির দেখা মিলবে। এসব পাখি না মেরে পরিবেশের স্বার্থে তা আমাদের বাচিয়ে রাখতে হবে। পাখি সুরক্ষার জন্য আমরা প্রয়োগজনীয় ব্যবস্থা নিব। উখিয়াসহ যেসব এলাকায় যারা পশুপাখি শিকার করে ঐসব পাচারকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
[৯] উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত উখিয়া রেঞ্জে বন কর্মকর্তাদের অভিযানে সর্বমোট ২১৬টি সাদা বক দুষ্কৃতকারীদের নিকট উদ্ধারপূর্বক প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়েছে। সম্পাদনা: হ্যাপি