বিনোদন ডেস্ক: সুপারস্টার শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘পরদেশ’ সিনেমার মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন অভিনেত্রী মাহিমা চৌধুরী। বলিউডের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন তিনি। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া সেই সিনেমায় মাহিমার রূপ আর অভিনয় মুগ্ধ করেছিল দর্শকদের। এরপর আরও অনেক দর্শকনন্দিত সিনেমায় দেখা গিয়েছিল তাকে। আরটিভি
কিন্তু দীর্ঘ বছর ধরে সিনেমার রুপালি পর্দা থেকে দূরে রয়েছেন মাহিমা। সংসার আর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই তার এখন সকল ব্যস্ততা। এরই মধ্যে মুখোমুখি হয়েছেন ভারতীয় গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে। জানালেন তার সময় আর এই সময়ের কিছু পার্থক্য। মাহিমার মতে, ওই সময়ে শুধুমাত্র ভার্জিন অর্থাত্ কুমারী মেয়েদের পর্দায় দেখতে পছন্দ করত দর্শকরা।
মাহিমা বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান পরিস্থিতি আগে থেকে অনেকটাই আলাদা। নায়িকাদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ভালো পারিশ্রমিক এবং চরিত্র পাচ্ছেন তারা। আগের তুলনায় ইন্ডাস্ট্রিতে তাদের ক্ষমতা বেড়েছে।’
নব্বই দশকের প্রেক্ষাপট টেনে মাহিমা বলেন, ‘তখন একজন অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবনও তার ক্যারিয়ারের ওপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলত। এমনকি কোনও অভিনেত্রী ডেটিং শুরু করলে, মানুষ তাকে ভুলে যাওয়া শুরু করত। সেই সময় ভার্জিন নায়িকা, যে কোনো দিনও চুমু খায়নি, এমন কাউকেই পর্দায় দেখতে পছন্দ করত দর্শকরা।’
শুধু নায়িকা নয়, নায়কদের ক্ষেত্রেও এমনটা হতো বলে দাবি করেছেন মাহিমা। তার ভাষ্য, “কায়ামত সে কায়ামত তাক’ সিনেমা মুক্তির সময় নাকি আমির বিবাহিত সেই খবরটা চেপে রাখা হয়েছিল। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি বদলেছে, এখনকার নায়িকারা বিয়ের পরও চুটিয়ে কাজ করছেন। দর্শকরা সেটাকে সাদরে গ্রহণ করছেন। এখন নায়িকাদের মানুষ বিভিন্ন চরিত্রে দেখতে পছন্দ করছে। এমনকি রোম্যান্টিক চরিত্রেও বিবাহিত নায়িকারা জমিয়ে অভিনয় করছেন। ব্যক্তিগত জীবনের পাশাপাশি পেশাগত জীবনকেও সমানভাবে বজায় রাখছেন তারা।”
প্রসঙ্গত, মাহিমা চৌধুরীকে সর্বশেষ দেখা গেছে ২০১৬ সালের ‘ডার্ক চকলেট’ নামের একটি বাংলা সিনেমায়। তবে ২০০৫ সালের পর সেভাবে আর আলোচনায় আসতে পারেননি তিনি।