মোহাম্মদ শাহজাহান: [২] চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার আশিয়া ইউনিয়নের বাথুয়া টাঙ্গারপুল সড়কের দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় এ সড়ক দিয়ে জনসাধারণকে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কটিতে ব্রিক সলিং উঠে গিয়ে ছোট-বড় গর্ত হওয়ায় চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীরা দ্রুত এ সড়কটি কার্পেটিং কংক্রিট ঢালাই দিয়ে সংস্কারের দাবি জানান।
[৩] জানা যায়, পটিয়া উপজেলার আশিয়া ইউনিয়নের শেষ প্রান্তে আনোয়ারা উপজেলার সাথে সংযুক্ত আশিয়া-বাথুয়া টাঙ্গারপুল হয়ে পটিয়া ও আনোয়ারা উপজেলার সাথে এ সড়ক দিয়ে জনসাধারণ চলাচল করে থাকে। আশিয়া ইউনিয়নের বাথুয়ার টেক থেকে টাঙ্গারপুল পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়কটিতে ব্রিক সলিং উঠে গিয়ে ছোট-বড় গর্ত হয়ে যানবাহন ও জনসাধারণকে পায়ে হেঁটে চলাচল ও অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
[৪] এ সড়কটির গুরুত্ব অনুধাবন করে আশিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবু বকর চৌধুরী ১৯৮৪ সালে কাদামাটি থেকে রক্ষাকল্পে সিংগার ব্রিক সলিং করেন। পরবর্তীতে সড়কটির ব্রিক সলিং উঠে গেলে ২০১৬ সালের সাবেক পটিয়া উপজেলা পরিষদ’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ চৌধুরী টিপু উপজেলা পরিষদ থেকে প্রায় ২৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এ সড়কটি ডাবল ব্রিক সলিং করা হয়।
[৫] স্থানীয় প্রবীণ সাংবাদিক শিশির বড়ুয়া জানিয়েছে, এ সড়কের প্রতি নজর নেই জনপ্রতিনিধিদের। সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও তাতে কোনো ধরনের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এ সড়ক দিয়ে কোনো রোগাক্রান্ত ব্যক্তি কিন্তু গর্ভবতী মহিলারা পর্যন্ত চলাচল করতে পারে না। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য স্থানীয় এমপিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
[৬] আশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ হাশেম জানিয়েছে, পটিয়ার অলির হাটের দিকে রাস্তাটির কাজ শুরু হয়ে গেছে। বাথুয়া থেকে টাঙ্গারপুল সড়কের কাজও শুকনো মৌসুমে শুরু হতে পারে। এজন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। বর্ষাকালে যাতে সড়কটি তলিয়ে না যায়, তাই উঁচু করে নির্মাণ করা হবে।
[৭] উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ নাথ জানিয়েছে, অলির হাট থেকে বাথুয়া হয়ে টাঙ্গারপুল পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়ক কার্পেটিং করার জন্য হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি সাড়ে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। চলতি মাসে টেন্ডার দেয়া হবে। আশা করি আগামী জানুয়ারী মাসের দিকে এ সড়কের কাজ শুরু হবে।