ইমরুল শাহেদ: নির্মাতাদের হাতে চলচ্চিত্রের উৎকর্ষ নিয়ে ভাবার জন্য সময় না থাকলেও সাংগাঠনিক কাজে তারা বেশ তৎপর। এখন অনেককে শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে। শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে। পরবর্তী নির্বাচনে কে বা কারা অংশগ্রহণ করবেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। গুজব শোনা যাচ্ছে শাকিব খান আবারও সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
তার সাধারণ সম্পাদক হবেন নায়িকা নিপুণ। তবে নির্বাচনের বিষয়টি শাকিব খান বরাবরই নাকচ করে যাচ্ছেন। যদি তিনি নির্বাচন করেন, তাহলে তার প্রতিপক্ষ শাকিব বিরোধীদের যে সমবেত করবেন, সেটা শাকিব খানের হিসাবের মধ্যে আছে। পরিচালক জাহিদ হোসেন সম্প্রতি ‘সোনাচর চর’ নামে একটি ছবির কাজ শুরু করেছেন। সে ছবিতে বিপরীত ধারায় থাকা দু’জন শিল্পী - মৌসুমী ও জায়েদ খানকে একত্র করেছেন তিনি। মৌসুমী বলেছেন, একজন শিল্পীর মধ্যে অশিল্পীসুলভ আচরণ থাকা ঠিক নয়।
জায়েদ খান বলেছেন, ‘মৌসুমী এবং আমার মধ্যে মিল হয়ে যাওয়ায় চলচ্চিত্রশিল্পের সমীকরণ একেবারে বদলে গেছে।’ কি রকম এই বদলে যাওয়া সে বিষয়ে তিনি কোনো ব্যাখ্যা দেননি। সোনার চর ছবিটি শুরু হওয়ার পর থেকেই একটা বিষয় নিয়ে সবাই আলোচনা করছেন, যেহেতু বর্তমান সভাপতি মিশা সওদাগর আর নির্বাচন করবেন না এবং ডিপজল আগেই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি কোনো নির্বাচনেই অংশগ্রহণ করবেন না, সেহেতু তার হাতে আছে রুবেল। কিন্তু রুবেলও যদি নির্বাচন না করেন তাহলে মৌসুমীকে নিয়েই প্যানেল দিতে হবে জায়েদ খানকে।
তবে নির্বাচন নিয়ে মৌসুমী স্পষ্ট করে কোনো কথা বলেননি। তার স্বামী অভিনেতা ওমর সানি বলেছেন, মৌসুমী সভাপতি হিসেবে নির্বাচন করলে তিনি সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন। গত মেয়াদে মৌসুমী নির্বাচন করে মিশা সওদাগরের সঙ্গে হেরে গেছেন। কিন্তু মৌসুমীর ভালো-মন্দ নিয়ে যারা ভাবেন তারা মনে করেন, এবারের নির্বাচন কতোটা কঠিন হবে তা বিবেচনায় রেখে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে তার জন্য ভালো হবে। গত নির্বাচনের অভিজ্ঞতা মৌসুমীর ঝুড়িতে তো আছেই।
আপনার মতামত লিখুন :