স্পোর্টস ডেস্ক: [২] জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের সোনালী যুগের ব্যাটসম্যান ছিলেন ডেভ হাটন। দেশটির টেস্ট ইতিহাসের অন্যতম সেরা সাবেক এই ব্যাটসম্যান ইউরোপের কোচিংয়ের পাঠ চুকিয়ে আবার দেশের ক্রিকেটের সাথে যুক্ত হয়েছেন।
[৩] ১৯৮৩ সালে ওয়ানডে অভিষেক দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন হাটন। দীর্ঘ ৯ বছর পর, ১৯৯২ সালে টেস্ট অভিষেক হয় তার। ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের জার্সিতে খেলেছেন তিনি। ২২টি টেস্ট ম্যাচে চারটি করে শতক ও অর্ধশতকের সুবাদে করেছেন ১৪৬৪ রান। ব্যাটিং গড় নজরকাড়া, ৪৩.০৫। ৬৩ ওয়ানডে ম্যাচে ২৬.৩৭ গড়ে করেছেন ১৫৩০ রান।
[৪] খেলোয়াড়ি জীবন শেষেই কোচিং ক্যারিয়ার গড়ে তোলেন হাটন। ছিলেন নিজ দেশে জিম্বাবুয়ের কোচ। তারপর পাড়ি জমান ইউরোপে। ওরচেস্টারশায়ার, সিএফএক্স একাডেমি, সমারসেট, মিডলসেক্স ও কয়েক মেয়াদে ডার্বিশায়ারের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। আয়ারল্যান্ড জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচও ছিলেন হাটন। ২০০৭ সালে বাংলাদেশের কোচ হওয়ার দৌঁড়ে থাকলেও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়ান তিনি।
[৫] চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্তও ডার্বিশায়ারের প্রধান কোচের দায়িত্ব ছিলেন হাটন। ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত, তারপর ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত এবং সর্বশেষ ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ডার্বিশায়ারের দায়িত্ব পালন করলেন এই সাবেক জিম্বাবুইয়ান ক্রিকেটার। মাসখানেক আগে ডার্বিশায়ারের প্রধান কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ান হাটন।
[৬] ইউরোপের কোচিংয়ের পাঠ চুকিয়ে তিনি আবার ফিরলেন নিজ দেশে। দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসমান ও অভিজ্ঞ কোচকে কোচিং ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট। জিম্বাবুয়ের সকল পর্যায়ে কোচিং উন্নতকরণ করা হবে হাটনের কাজ। তাছাড়া দেশজুড়ে বিশেষ ক্রিকেট ক্যাম্পও পরিচালনা করবেন ৬৪ বছর বয়সী এই স্বনামধন্য কোচ।
[৭] হাটনকে জিম্বাবুয়ের কোচদের এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যেন এই কোচরা দেশটির ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকে সেরাটা বের করে আনতে পারেন। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের এই নতুন উদ্যোগ দেখে মনে হচ্ছে, তারা আবার দেশের ক্রিকেটকে ঢেলে সাজাতে কাজে নেমেছেন। ক্রিকবাজ
আপনার মতামত লিখুন :