মো: সাগর আকন: [২] মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রীকে অপহরণের প্রায় দুই মাস বিভিন্ন স্থানে খুজে কোথাও না পেয়ে ধর্ষণ মামলা করেছে ছাত্রীর বাবা। বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: হাফিজুর রহমান বুধবার মামলাটি গ্রহন করে বরগুনা থানার ওসিকে এজাহার নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
[৩] মামলার আসামীরা হল, বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামের নজরুল ইসলাম কাজির ছেলে সাকিব ও সাকিবের বাবা নজরুল ইসলাম কাজি। জানা যায়, আসামী সাকিব বিভিন্ন সময় বাদী আলমগীর হোসেনের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে যৌন উত্ত্যাক্ত ও কুপ্রস্তাব দেয়। বাদীর মেয়ে রাজী না হবার কারনে আসামী সাকিব অপহরণের সুযোগ খুজিতে থাকে। এ বছরের ১৮ আগস্ট সন্ধ্যা ৭ টার সময় সাকিব ও অপরিচিত কয়েকজন লোক একত্রিত হয়ে গৌরীচন্না কলেজের পশ্চিম পাশে রাস্তার উপর দাড়ায়। এমন সময় মেয়ের মা ও মেয়ে বরগুনা বাজার থেকে আসার পথে অটো রিক্সা যোগে গৌরীচন্না কলেজের কাছে ফাকা পাকা রাস্তার উপর পৌঁছা মাত্র আসামী সাকিব ও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন দুটি মোটর সাইকেলে তুলে বাদীর মেয়েকে চাকু বের করে খুনের ভয় দেখিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। বাদীর স্ত্রী তার মেয়েকে রক্ষা করতে পারেনি।
[৪] বাদী আলমগীর হোসেন বলেন, আমার মেয়েকে বিভিন্ন স্থানে খুঁজে না পেয়ে সাকিবের বাবা নজরুল কাজির কাছে গিয়ে জানালে তিনি আমাকে জানান, অল্প দিনের মধ্য আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দেব। ২৮ সেপ্টেম্বর বিকালে অপরিচিত মোবাইল ফোনে আমার স্ত্রীকে আমার মেয়ে জানায় মা আমি পালিয়ে বাড়ীতে আসিতেছি।
[৫] পরের দিন সকালে আমার মেয়ে বাড়ীতে এসে জানায় আসামী সাকিব আমাকে অপহরণ করে বিভিন্ন স্থানে রেখে ধর্ষণ করেছে। আমি সাকিবকে বিয়ের কথা বলায় আমাকে বিয়ে করবেনা। আমি
[৬] ০১ অক্টোবর বিকালে বরগুনা থানায় মামলা করিতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নিয়া বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনালে মামলা করার পরামর্শ দেয়। বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম তারিকুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে বরগুনা থানায় কেহ মামলা করতে আসেনি। মামলা করতে আসলে অবশ্যই মামলা নিতাম।