মনিরুল ইসলাম: [২] তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নয়াপল্টনের কার্যালয়ের সামনে যে ধরনের সমাবেশ হয়, প্রেস ক্লাবকে সে ধরনের সমাবেশস্থল বানানো মোটেই সমীচীন হয়নি। যেটি বিএনপি করেছে।
[৩] তিনি বলেন, এটি করে প্রেস ক্লাবের পবিত্রতা, মান-মর্যাদা নষ্ট করা হয়েছে বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি।
[৪] সোমবার (১১ অক্টোবর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
[৫] তিনি বলেন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রেস ক্লাবে আলোচনা সভা, সরকারের বিরুদ্ধে আলোচনা সভা, সরকারের পক্ষে আলোচনা সভা, সিভিল সোসাইটির আলোচনা সভা- এগুলো হতেই পারে। তবে প্রেস ক্লাবকে সমাবেশস্থল বানানো মোটেই সমীচীন হয়নি।
[৬] তিনি বলেন, ডিজিটালাইজ না হওয়ার কারণে সরকার বছরে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। একই সঙ্গে কোনো কোনো টেলিভিশন পে-চ্যানেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চাইলেও পারছে না।
[৭] সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের উত্তরে হাছান মাহমুদ বলেন, যেসব বিদেশি টেলিভিশন ক্লিনফিডবিহীন বিজ্ঞাপন দিয়ে পাঠাতো, সেগুলো বন্ধ রেখেছি। শুরুতে যেসব টেলিভিশন ক্লিনফিড পাঠাতো, ক্যাবল অপারেটররা সেগুলোও বন্ধ রেখেছিল। পরবর্তীতে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেওয়ার পর সেগুলো চালু হয়েছে।
[৮] তিনি বলেন, ক্লিনফিড পাঠানোর দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট চ্যানেলের, ব্রডকাস্টারদের। এখানে তাদের যারা এজেন্ট আছে তাদেরও কিছুটা দায়িত্ব আছে। অন্যদের দায়িত্ব এটা না। ওই চ্যানেলগুলো আমাদের দেশে ক্লিনফিড পাঠাতো না তবে শ্রীলঙ্কা-নেপালে ক্লিনফিড পাঠাতো।
[৯] আমাদের এখানে না পাঠানোর কারণ হচ্ছে যারা চ্যানেলগুলো চালাতো, তারা দেশের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাতো। তাদের সহায়তায় এই ব্রডকাস্টাররা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাতো।
[১০] মন্ত্রী বলেন, আমরা ক্লিনফিড বাস্তবায়ন করেছি এবং অবশ্যই অব্যাহত থাকবে। তারা ক্লিনফিড লিংক পাঠালে এখানে সম্প্রচার হবে, তাতে কোনো বাধা নেই, আমাদের আকাশ উন্মুক্ত।