আশরাফুল আলম খোকন : আইনের চোখে তারেক রহমান ফৌজদারি মামলার পলাতক একজন আসামি। তিনি লন্ডনে চিকিৎসার জন্য গিয়ে আর দেশে ফেরত আসেননি। সরকার তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে বলে সংবাদে দেখেছি। সম্প্রতি প্রতিদিনই মিডিয়াতে কিছু সংবাদ দেখছি। বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ডিজিটালি জুম মিটিংয়ে দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করছেন পলাতক তারেক রহমান। মিডিয়াতে সেসব সংবাদ ফলাও করে প্রচারও হচ্ছে। তারা জুম মিটিংয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করছেন। সর্বশেষ গতকাল মিটিং করেছেন বিএনপিপন্থি পেশাজীবীরা। সেখানে অনেক আইনজীবীও ছিলেন। যতোদূর জানি, উচ্চ আদালতের একটা রায় আছে যাতে তারেক রহমানের সংবাদ মিডিয়াতে প্রচার না হয়। কারণ তিনি পলাতক আসামি।
আইন অনুযায়ী পলাতক আসামির সঙ্গে বৈঠকের সংবাদ মিডিয়াতে প্রচার হওয়ার কথা নয়, কিন্তু হরদম প্রচার হচ্ছে। তাহলে পলাতক আসামির সঙ্গে কী প্রকাশ্যে সভাও করা যাবে? আইন কী বলে জানি না। আইনের ব্যত্যয় হচ্ছে কিনা তা আইনজ্ঞরা বলতে পারবেন। তারেক রহমানের সঙ্গে ওই মিটিংয়েও অনেক বিজ্ঞ আইনজীবী ছিলেন। কেউ রিট না করলে শুনেছি অনেক সময় কোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে নির্দেশনা দেন, যদি তারা দেখেন যে কোথাও অধিকার বা আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেছে। নায়িকা পরিমণির সময়ও আমরা আদালতের স্বপ্রণোদিত অগ্রণী ভূমিকা দেখেছি। আইনের ভয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিমণিকে নিয়ে তটস্থ ছিলেন। কোন সময় কী নির্দেশনা আসে। জুম মিটিং করে যদি তারেক রহমান কিংবা মিটিংয়ে অংশগ্রহণকারীরা যদি আইনের বরখেলাপ করে থাকেন নিশ্চয়ই আদালত বিষয়টি দেখবেন। তার সংবাদ প্রকাশ আইনের বরখেলাপ কিনা তাও বিজ্ঞ আদালত দেখবেন। সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন আইডিতে পলাতক আসামির লাইভ বক্তব্য প্রকাশ কতোটুকু আইনসম্মত তাও জানা নেই। বিজ্ঞ আদালত যা বলবেন তাই শিরোধার্য। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :