সোহেল মিয়া: [২] রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লী থেকে ঋতু আক্তার (৩০) গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ঋতু সুজন খন্দকারের বাড়িতে বসবাস করত। তার বাড়ি গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলায়।
[৩] শনিবার ( ৯অক্টোবর) সকালে পুলিশ ঋতুর লাশ দৌলতদিয়া যৌনপল্লী থেকে উদ্ধার করে।
[৪] জানা যায়, শনিবার সকালে ঋতু আক্তারের শয়নকক্ষ থেকে রক্ত গড়িয়ে বাইরে চলে আসে। এসময় স্থানীয়রা তার ঘরে গিয়ে মেঝোতে গলাকাটা মৃতদেহ পরে থাকতে দেখে। বিষয়টি গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থয়ে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে।
[৫] নিহত ঋতু আক্তারের মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী জানায়, কথিত সাংবাদিক সুজন খন্দকারের বাড়িওয়ালী হিসেবে তার মা ওই বাড়িতে থাকত। গত রাতে সে প্রতিদিনের মতো পাশের একটি ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। সকল ৮টার দিকে তাকে স্থানীয়রা ডেকে বলে তার মাকে হত্যা করা হয়েছে। তার মায়ের সঙ্গে কারো কোনো শত্রুতা ছিল বলে তার জানা নেই।
[৬] স্থানীয় একাধিক যৌনকর্মী জানায়, ঘটনার রাতেও ঋতুর ঘরে বাড়িওয়ালা সুজন খন্দকার এসেছিলো। পরে সুজন কখন ঘর থেকে বের হয়েছে কেউ তা খেয়াল করেনি। শনিবার ভোর রাতের দিকে অজ্ঞত দুর্বৃত্তরা ঋতুকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
[৭] গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ীর মর্গে পাঠানো প্রক্রিয়া চলছে। সেই সঙ্গে ঘটনা তদন্তে সংশ্লিষ্ট বিভাগ কাজ করছে।