আশরাফুল আলম খোকন: তারেক রহমান বনাম পরীমনি: আইন কি বলে!
আশরাফুল আলম খোকন, ফেসবুক থেকে: আইনের চোখে তারেক রহমান ফৌজদারি মামলার পলাতক একজন আসামি। তিনি লন্ডনে চিকিৎসার জন্য গিয়ে আর দেশে ফেরত আসেননি। সরকার তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে বলে সংবাদে দেখেছি।
সম্প্রতি প্রতিদিনই মিডিয়াতে কিছু সংবাদ দেখছি। বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ডিজিটালি জুম মিটিঙে দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করছেন পলাতক তারেক রহমান। মিডিয়াতে সেইসব সংবাদ ফলাও করে প্রচারও হচ্ছে।
তারা জুম মিটিংয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনের রূপরেখা তৈরী করছেন। সর্বশেষ গতকাল মিটিং করেছেন বিএনপি পন্থী পেশাজীবীরা। সেখানে অনেক আইনজীবীও ছিলেন। যতদূর জানি, উচ্চ আদালতের একটা রায় আছে যাতে তারেক রহমানের সংবাদ মিডিয়াতে প্রচার না হয়। কারণ তিনি পলাতক আসামি।
আইন অনুযায়ী পলাতক আসামির সাথে বৈঠকের সংবাদ মিডিয়াতে প্রচার হবার কথা না কিন্তু হরদম প্রচার হচ্ছে। তাহলে পলাতক আসামির সাথে কি প্রকাশ্যে সভাও করা যাবে ? আইন কি বলে জানিনা। আইনের ব্যতয় হচ্ছে কিনা তা আইনজ্ঞরা বলতে পারবেন। তারেক রহমানের সাথে ওই মিটিংয়েও অনেক বিজ্ঞ আইনজীবী ছিলেন।
কেউ রিট না করলে শুনেছি অনেক সময় কোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে নির্দেশনা দেয়, যদি তারা দেখেন যে কোথাও অধিকার বা আইনের কোন ব্যতয় ঘটেছে। নায়িকা পরিমনির সময়ও আমরা আদালতের স্বপ্রণোদিত অগ্রণী ভুমিকা দেখেছি। আইনের ভয়ে আইনশৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনী পরিমনিকে নিয়ে তটস্থ ছিলেন। কোন সময় কি নির্দেশনা আসে।
জুম মিটিং করে যদি তারেক রহমান কিংবা মিটিংয়ে অংশগ্রহনকারীরা যদি আইনের বরখেলাপ করে থাকেন নিশ্চয়ই আদালত বিষয়টি দেখবেন। তার সংবাদ প্রকাশ আইনের বরখেলাপ কিনা তাও বিজ্ঞ আদালত দেখবেন। সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন আইডিতে পলাতক আসামির লাইভ বক্তব্য প্রকাশ কতটুকু আইনসম্মত তাও জানা নাই। বিজ্ঞ আদালত যা বলবেন তাই শিরোধার্য।