শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে অসন্তোষ, যা বলছেন ইসি সচিব ◈ পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে যে কারণে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার ◈ প্রবাসীদের কল্যাণে মালদ্বীপে হাইকমিশনের নতুন উদ্যোগ ◈ দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে যাবে ১,২০০ মেট্রিক টন ইলিশ, রপ্তানির অনুমোদন পেলো ৩৭ প্রতিষ্ঠান ◈ ঢাকায় তাপমাত্রা বেড়েছে জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশি, স্বাস্থ্য ও অর্থনীতি হুমকির মুখে ◈ ভুয়া জুলাই শহীদ-যোদ্ধাদের নাম তালিকা থেকে বাদ, জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ◈ কুয়াকাটা সৈকত থেকে আবারও অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার ◈ আদমদীঘিতে ভাঙা রেললাইনে কম্বল গুঁজে ১৮ ঘন্টা ট্রেন চলাচল ◈ জুলাই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে হলে সব ধর্মের মানুষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ ব্যক্তি বিবেচনায় এলএনজি কেনা হচ্ছে না, পিটার হাসের কোম্পানি প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা

প্রকাশিত : ০৯ অক্টোবর, ২০২১, ০৩:৩৫ রাত
আপডেট : ০৯ অক্টোবর, ২০২১, ০৩:৩৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাহবুব কবির মিলন: সন্তানের ভবিষ্যৎ, পিতা-মাতাই দায়-দায়িত্ব

মাহবুব কবির মিলন: সম্ভবত ১৯৮৩ সালের জুন মাসের কথা। ৭ম লং কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে গিয়েছি ভাটিয়ারি বিএমএতে। আমার এক চাচাতো ভাই এবং বন্ধুর পাসিং আউট প্যারেড। দু’জনেই আমার ব্যাচমেট। অনুষ্ঠান শেষ হতেই প্রায় সবাই দেখলাম দ্রত প্যান্ডেল ছেড়ে অফিসার্স গেস্ট হাউজের দিকে দ্রত যাচ্ছে। আমরা না বুঝেই ধিরে-সুস্থে রওয়ানা দিলাম। শুনলাম নাস্তার আয়োজন আছে। সেখানে বিশাল প্যান্ডেলের নিচে আর ঢোকা যাচ্ছে না। শুধু খেয়াল করলাম চারদিক দিয়ে টেবিলে বোধহয় নানা পদের খাবার সাজানো। সেটাই আমার জীবনে প্রথম বুফে দেখা এবং খাওয়া। তবে টেবিলের কাছে আর ভিড়তে পারছি না। অনেক চেষ্টার পর যখন একটা ধাক্কা খেয়ে এক টেবিলের কোণায় হাজির হলাম, তখন সব শেষ। একটা প্লেটে এক পিস কেক আমাকে স্বাগত জানার সুযোগ পেলো। ডানে-বাঁয়ে তাকিয়ে দেখি শূন্য টেবিল।

আমার বাঁয়ে ৭/৮ বছরের এক বাচ্চার গলার আওয়াজে তাকিয়ে দেখি ভদ্রমহিলা নিজের প্লেট, পাশে স্বামীর প্লেটে পাহাড় সমান খাবার যোগাড় করে ফেলেছেন। বাচ্চার প্লেটেরও একই অবস্থা। বাচ্চা বারবার বলছে, মামণি মামণি আমাকে এতো দিয়েছ কেন! আমি তো খেতে পারবো না, নষ্ট হবে। হোক, যা পারিস খেয়ে বাকিটা ব্যাগে নিয়ে যাবো। মায়ের উত্তর। গত সপ্তাহে ধানমন্ডিতে এক রেস্টুরেন্টে বুফে খেতে গিয়েছি। খেয়াল করলাম, অনেকের খাবার শেষে প্লেট ফেরত যাচ্ছে ভরা এঁটো খাবারসহ। মানে খেতে না পারলেও নষ্ট করে হলেও টাকা উসুল করতে হবে। খাবার শেষে গেলাম ডেজার্ট সেকশনে। কিছুই পাচ্ছি না।

আনার সঙ্গে সঙ্গেই সবাই খাবলা মেরে নিয়ে নিচ্ছে। চিপা জায়গা। এক সাইডে বিয়ে, একদিকে জন্মদিন, অন্যদিকে রিজার্ভেশন। এই চিপা খাবার জায়গা ঈদের আগে কমলাপুর স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের মতো মনে হলো। খালি প্লেট নিয়ে চাপায়-চুপায় এক ভদ্রমহিলা আর ৮/১০ বছরের বাচ্চার পাশে এসে দাঁড়ালাম। আবার সেই ১৯৮৩ সালের কাহিনি। সামনে পিজ্জার ট্রে। আমি নেবো না, কারণ খাবার পর সেটা খাওয়া সম্ভব নয়। তাকিয়ে রইলাম। তিনি তার প্লেটে সবগুলো ইস তুলে নিলেন। বাচ্চাটি শুধু আম্মু, আম্মু করে মায়ের হাত ধরে ঝাঁকি দিয়ে বলছে, হয়েছে হয়েছে! এখানে অবশ্য ব্যাগে ভরার ইঙ্গিত আর শুনিনি। কেন বললাম এতো কথা! বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করার জন্য কিন্তু পিতা-মাতাই অনেকাংশেই দায়ী। আপনি যদি সাউন্ড পারিবারিক শিক্ষা দিয়ে বাচ্চাকে ঘরের বাইরে পাঠাতে না পারেন, তবে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, সমাজ, রাষ্ট্র সেই গ্যাপটা আর কখনোই ফিল-আপ করতে পারবে না। যে চ...গুলো দেশের সর্বনাশ করছে, শিক্ষাটা সে পরিবার থেকেই নিয়ে এসেছে। ফেসবুক থেকে

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়