তৌহিদুর রহমান: [২] শরতের শুভ্রতা নেমে এসেছে পুরো পদ্মবিল জুড়ে। এই পদ্ম বিলের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে শুধুই সাদা আর গোলাপি পাপড়ির মিশেলে থাকা পদ্মফুলের সমাহার। পড়ন্ত বিকেলের মৃদমন্দ আবহাওয়ায় বিলের পানির ঢেউয়ের তালে মাথা উঁচু করে থাকা একেকটা পদ্ম যেন প্রকৃতির সঙ্গে মিতালিতে মেতেছে।
[৩] বিলের পানির উপর সারি সারি সবুজ পাতা, দূর থেকে দেখলে মনে হয় এযেন প্রকৃতি তার মায়াজালের পদ্মফুল গুলো রঙের তুলিতে একেঁ রেখেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় মনিয়ন্দ ইউপির ধর্মনন্দ গ্রামের পদ্ম বিল। অরূপ নয়নাভিরাম এদৃশ্য চোখ দিয়ে দেখলে মন জুড়িয়ে যায়, আসে এক অন্য রকম প্রশান্তি। ভ্রমন পিয়াসু দর্শনার্থীরা সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসেন এই পদ্ম বিলে।
[৪] সরেজমিনে ঘুরে ও কথা বলে জানা যায়, প্রতি বছর বর্ষায় ফুটতে শুরু করে সৌন্দর্য আর শুভ্রতার প্রতীক পদ্ম। জলজ ফুলের রানির উপস্থিতিতে জলাভূমি ও বিল-ঝিলে সৌন্দর্য বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তাছাড় কালিবাড়ির এই বিলটিতে বিকেল থেকেই শুরু হয় তরুণ তরুণীদের আড্ডা, নৌকা চড়া, আনন্দ আর হৈচৈ। ভ্রমণ পিপাসুরা যেন মাতিয়ে তুলেন পুরো এলাকা। উপজেলায় আরো কয়েকটি পদ্ম বিল রয়েছে। তার মধ্যে মনিয়ন্দ ইউনিয়নের কালিবাড়ি এলাকার পদ্মবিল অন্যতম। এটি উপজেলা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে এবং শতবছর পুরোনো। যার কারণে এই পদ্মবিলটি সকলের কাছেই এখন পরিচিত। অনেকে দূর থেকে পরিবারের সদস্য ,আবার কেউ বন্ধু বান্ধব, আবার কেউ আত্মীয় স্বজন নিয়ে বেড়াতে আসেন পদ্ম বিলের এলাকায়।
[৫] স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলামের বলেন, এই বিলের মধ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য দৃষ্টি নন্দন সাদা, লাল, গোলাপী পদ্ম ফুল। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভ্রমণ প্রিয় লোকদের পদচারণায় মোখরিত হয়ে উঠে এলাকাটি। বিলের মধ্যে আছে ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকা। বর্ষা মৌসুমে তেমন কাজ না থাকায় এ বিলে জন্ম নেয়া পদ্ম ফুল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন শত শত দরিদ্র পরিবার।
[৬] পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা শান্তু খান বলেন, অনেক দিন ধরে কোথাও তিনি বের হয়নি। গত বছরের চাইতে এবার অনেক পদ্ম এসেছে। তাই সময় সুযোগ হওয়ায় ছেলে মেয়েদের নিয়ে এখানে আসা। সারি সারি ফুল দেখে তারা মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানান।
[৭] আখাউড়ার ইউএনও রুমানা আক্তার বলেন মনিয়ন্দ এলাকায় দুটি পদ্ম বিল রয়েছে। যা বিনোদনের জন্য ভালো স্থান। দর্শনার্থীরা এসে পদ্মের এই অপরূপ সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন। সম্পাদনা: হ্যাপি