শোয়েব সর্বনাম : নারীকে আর চারদেয়ালে বন্দি রাখা যাবে না, তাদের ঘর থেকে বের করতে আনতে হবে। এটা ইউরোপের নারীবাদ। এখানে এপ্লিকেবল নয়। আমাদের দেশের মুরুক্ষ নারীবাদীদের কে শেখাবে, এ দেশের নারীরা কখনোই চারদেয়ালে বন্দি ছিলো না। তারা হাগতেও জঙ্গলে যেতো মাত্র দু’যুগ আগেই, খাওয়ার জল আনতে কলসি কাঁখে নিয়ে নদীতে। আমরা নদীর দেশের মানুষ, আমাদের কালচার আলাদা। দিনমান নদী থেকে জঙ্গলে দৌড়িয়ে বেড়ানো নারীদের এখন বলা হচ্ছে বন্দিনী। এটা লেবেলের সার্কাজম এই দেশের নারীবাদীদের দ্বারাই সম্ভব। আমাদের নারীদের ঘর মানে চারদেয়াল নয়।
আমাদের নারীদের ঘর মানে ঘরবাড়ি, উঠান, পুষ্কুনি, ক্ষেত, খামার এভিরথিং। এ দেশে এখন পর্যন্ত কৃষিকাজ নারীদের অবদান ছাড়া চলে না। ধান কেটে আনার পরই পুরুষের দায়িত্ব শেষ। এই অঞ্চলের প্রথম নারীবাদী খনা, যার জ্ঞান ছিলো গৃহস্থালী, কৃষিবিজ্ঞান ও আবহাওয়া বিষয়ে। তার সময়ে ইউরোপের একটা নারীবাদী খুঁজে বের করেন তো! শঙ্খিনী, হস্তিনী, এক্সিস্ট, এটা বডি শেমিং যারা বলে তাদের মাথায় বুদ্ধি কম কিংবা একেবারেই নেই। আমরা ইউরোপ নই, আমাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি আছে। ইউরোপ যখন কাঁচা মাংস খায়, তখন আমাদের এখানে যৌনতার আর্ট নিয়ে গবেষণার জন্য ফান্ড বরাদ্দ হয়। কামসূত্র একটা রিসার্চওয়ার্ক। সেই গবেষণার একটা পার্ট এই শরীরভিত্তিক পর্যায়ক্রম। এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত লেখার আছে, জাস্ট ফোকাস পয়েন্টগুলা টাচ করলাম। এখন বাইরে যাইতে হবে, বাসায় এসে লিখতে পারি যদি তখনো এসব নিয়ে বলার মুড থাকে। মুরুক্ষদের কথায় বিভ্রান্ত হবেন না।