রউফুল আলম : পিএইচডির সময় দুই বছর ধরে কাজ করেছি Asymmetric Organo-catalysis নিয়ে। সেই কাজ থেকে দুটো আর্টিকেল পাবলিশ করেছিলাম কেমিস্ট্রির বেস্ট জার্নালে। এ বছর নোবেল পুরস্কার দেওয়া হলো এই বিষয়ের ওপর। পৃথিবীর লিডিং স্কুল এবং রিসার্চ ল্যাবগুলোতে কাটিং-GR(Cutting-edge) রিসার্চ হয়। কাটিং-এজ রিসার্চ হলো: যে গবেষণা করার সময় বুঝা যায়, সেটা হালের ফ্যাশন। যে গবেষণা করার সময় বুঝা যায়, দুনিয়ার ডাকসাইটে গবেষকরা সে ফিল্ড লিড দিচ্ছে। যাদের কাজ আমাদের আন্ডাস্টেন্ডিং বদলে দিবে। যে গবেষণা নিজ নিজ ফিল্ডে একটা বড়ো ইমপ্যাক্ট তৈরি করেছে।
একটা সমাজে যদি সে মানের গবেষণার পরিবেশ তৈরি না করা যায়, তাহলে সমাজকে মূল থেকে বদলে দেয়া সহজ হয় না। আমাদের দেশে কাটিং-এজ গবেষণা নেই বললেই চলে। এর কারণ, আমরা টাকা খরচ করে সেই মানের লোক রাখতে রাজি না। গবেষণার জন্য টাকা খরচ করতে আগ্রহী না। এবং এগুলো উপলব্ধি করার মতো রাজনীতিবিদ আমাদের নেই। চীন-কোরিয়া সে মানের গবেষণা করছে। ত্রিশ-চল্লিশ বছরে নিজেদের মানুষ দিয়ে বিশ্বমানের গবেষণা করার মতো সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে। ভারত সেভাবেই নিজেদের প্রস্তুত করছে। আমরা যদি এখন সেই লক্ষ্যে কাজ শুরু করি, তাহলে ২০৫০-৬০ সালে হয়তো সেটার বড়ো ইমপ্যাক্ট দেখতে পাবো। কিন্তু সে রকম প্রস্তুতি এখনো চোখে পড়েনি!
আমাদের বহু তরুণ-তরুণী সারা দুনিয়ায় ছড়িয়িছে। তারা বড়ো বড় ল্যাবে কাজ শিখছে। এটা একটা পজেটিভ দিক। তাদের মধ্য থেকে তুমুল প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে টেলেন্ট হান্ট করার সময় এসেছে। তথাকথিত স্কেল-গ্রেড থেকে বের হয়ে, তাদের আলাদা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নিতে হবে। এ ধরনের কার্যকর উদ্যোগগুলো না নিলে শিক্ষা-গবেষণায় আরো তলিয়ে যাবো আমরা। আমাদের যদি বা কখনো উপলব্ধি হয়! ফেসবুক থেকে