আতিক খান: শাহরুখপুত্র অসংখ্য তরুণীর হার্টথ্রব। ২৩ বছর বয়সী আরিয়ান খান মাদক সম্পৃক্ততার জন্য গ্রেফতার হয়েছে। অবাক হইনি একদম। শাহরুখ একটা সাক্ষাৎকারে আরিয়ানের শৈশবেই বলেছিলেন, তিনি তথাকথিত প্যারেন্টিংয়ে বিশ্বাস করেন না। তিনি আরিয়ানকে পুরোপুরি স্বাধীনতা দিয়ে বড় করবেন। শাহরুখ কৈশোর আর তারুণ্যে যা উপভোগ করতে পারেননি, আরিয়ান যেন সেসব হতে বঞ্চিত না হয়। তাছাড়া আরিয়ান এর আগেও ফ্রি মিক্সিং আর উন্মুক্ত খোলামেলা জীবনযাপনের জন্য বেশ কয়েকবার নিউজে এসেছিলো। কোটিপতিদের পুত্র-কন্যাদের লাইফস্টাইল এ রকমই হওয়ার কথা। সততা আর নৈতিকতার ধারেকাছেও নেই। বরং বিলাসিতা, মদ-মাদক, জুয়া, গাড়ি, পার্টি আর নারী... এই তো জীবন। এতো অর্থ দিয়ে তারা নইলে করবেটা কী... মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান পরিস্থিতি খুবই শোচনীয়। সুশান্ত রাজপুত আর তার সেক্রেটারি দিশা হত্যাকার কোনো সুরাহা এখনো হয়নি। সেই হত্যা আর মাদক সংক্রান্ত অপরাধে নাম এসেছে অসংখ্য নায়ক-নায়িকা আর সেলিব্রিটিদের। তদন্ত আর চার্জশিট এখনো চলছে। এর মধ্যে পর্নোগ্রাফি ইন্ডাস্ট্রিতে নাম এসেছে শিল্পা শেঠীর স্বামী রাজকুন্দ্রের। রাজকুন্দ্র এখন জামিনে আছে। এসব অপরাধের অনেকগুলোই একটা আরেকটার সঙ্গে জড়িত।
মদ-মাদক, শিশু পর্নোগ্রাফি, হত্যা, অস্ত্র, চোরাচালান ইত্যাদি অপরাধে জড়িয়ে আছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অনেক নামিদামি হোমরা-চোমরা রাঘববোয়ালরা। আরিয়ানের অপরাধ কিন্তু খুব একটা লঘু টাইপ কিছু নয়। তার মোবাইলে মাদক বেচাকেনার প্রমাণ পাওয়া গেছে। মাদক নেয়ার স্বীকারোক্তিও দিয়েছে আরিয়ান ইতিমধ্যে। আরো কিছু অপরাধেও জড়াতে পারে আরিয়ানের নাম। শাহরুখ গৌরীর জন্য অবশ্য মায়া লাগলো। কতো অর্থসম্পদ আর প্রতাপশালী এই পরিবার। ইন্ডিয়ার সেরা লইয়ারকে ভাড়া করেও জামিন না হওয়াতে মুখ পানসে করে দাঁড়িয়ে আছে। সন্তানের কৃতকর্মের সামনে প্রভাবশালী বাবা-মায়েদেরও নতজানু হওয়া ছাড়া কোনো গতি থাকে না। শাহরুখ নিজে মদের বিজ্ঞাপন করেছেন, সারোগেসি পদ্ধতিতে সন্তান নিয়েছেন, সনাতন ধর্মের মেয়ের সঙ্গে অবৈধ সংসার করছেন এবং সন্তানদেরও কোনো ধর্মীয় আর নৈতিক শিক্ষা দেননি। তাই আরিয়ানের পারিবারিক শিক্ষার দৌড়ও অতদূরই। তবে শাহরুখ ভক্তরা টেনশন নিয়েন না। ভারত সরকারও হয়তো কোনো দুঃসংবাদ হতে দৃষ্টি সরাতে আরিয়ানকে ধরেছে। কয়েক রকম মাদক পাওয়া যাওয়ার পরও পরিমণির যেমন কিছু হয়নি, সেরকম আরিয়ানেরও কিছু হবে না।