শাহিদুল ইসলাম: [২] দেবিদ্বারে এক কিশোরী (১৬) কে ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনাটি ঘটে চলতি বছরের গত ২ জুলাই দেবিদ্বার পৌর এলাকার বিনাইপাড় গ্রামে। অন্তঃসত্বা ওই কিশোরীর শারিরীক অবস্থার অবনতী দেখা দিলে তার পরিবার রোবার রাতে দেবিদ্বার উপজেলা সদরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে আল্ট্রাসনো সহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানতে পারেন ওই কিশোরী ৩ মাসের অন্তঃসত্বা।
[৩] ওই ঘটনায় রোববার দিবাগত রাতেই ৩ মাসের অন্তঃস্বত্বা ওই কিশোরীর মা’(৩৯) পৌর এলাকার বিনাইপাড় গ্রামের আঞ্জুমান’র ছেলে মো. সোহাগ মিয়া (২১) কে অভিযুক্তসহ একমাত্র আসামি করে দেবিদ্বার থানায় বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে (৯(১)’র ধারায়) একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং- ০৫, তারিখ- ০৪/১০/২০২১ইং।)
[৪] মামলার বাদী (৩৯) জানান, ধর্ষক সোহাগ আমাদের প্রতিবেশী। প্রায় তিন মাস পূর্বে সোহাগের বোনের বাচ্চা হয়, ওই বাচ্চা দেখভালের জন্য আমার মেয়েকে তাদের ঘরে রাখা হয়। আমি এবং আমার স্বামী দিনমজুর, পরের সংসারে কাজ করে জীবীকা নির্বাহ করে আসছি। আমার মেয়ে শারেরীক অবস্থা দেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় মেয়ে তাদের ঘরে থাকা অবস্থায় প্রায় তিন মাস পূর্বে (গত ২ জুলাই রাতে) সোহাগ তার নিজ ঘরে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
[৫] মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা দেবিদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নাজমুল হাসান জানান, সোমবার সকালে ভিক্টিম কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, মেডিকেল পরীক্ষা শেষে কুমিল্লা ৪নং সিনিয়র জুডিশিয়াল বিচারিক আদালতের বিচারক ফারহানা সুলতানা’র নিকট ভিক্টিম তার ২২ ধারায় জবানবন্ধি রেকর্ড করেন। অপর দিকে আসামি সোহাগকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন।
দেবিদ্বার থানার অফসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আরিফুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই কুইক সার্ভিস টিমের অভিযানে রোববার দিবাগত শেষ রাতেই বিনাইপাড় গ্রামের গোলাম মোস্তফার বাড়ি থেকে অভিযুক্ত সোহাগকে গ্রেফতার করে আজ কোর্ট হাজতে চালান করা হয়েছে।