মাসুদ মিয়া: [২] দেশের শেয়ারবাজার আগের দিনের ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববারও সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এই নিয়ে ৫ কার্যদিবস ধরে শেয়ারবাজারে সূচক উর্ধ্বমুখী অব্যাহত রয়েছে। এদিন অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে পাশাপাশি লেনদেন কমেছে তবে সূচক বেড়েছে।
[৩] রোববার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসইতে তিন রেকর্ড হয়েছে। ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ৭ হাজার ৩৫৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। যা সূচকটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান। সূচকটি ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি চালু হয়েছিল। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৩১ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৭৪১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৫৯৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ দু’টি সূচকও এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে অবস্থান করছে।
[৪] গতকাল ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে প্রথম মিনিটেই ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ডিএসই-এক্স প্রায় ৪০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। শুরুতে দেখা দেয়া বড় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টা অব্যাহত থাকে। তবে দুপুর ১২টার পর থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হতে থাকে। ফলে নিচের দিকে নামতে থাকে সূচক। অবশ্য বেশিরভাগ বাছাই করা ভালো কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ায় সবকটি সূচকের উত্থান দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
[৫] দিনের লেনদেন শেষে ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসই-এক্স আগের দিনের তুলনায় ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ৭ হাজার ৩৫৬ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৫৯৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৩১ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৭৪১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
[৬] সবকটি মূল্যসূচক বাড়লেও দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে ২১৬টির। আর ৫১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সব খাত মিলে বেশি সংখ্যাক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হলেও ব্যতিক্রম থাকে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানির বেশিরভাগ। দিনের লেনদেনে বাছাই করা ৩০ কোম্পানির মধ্যে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায় ১৮টি। বিপরীতে দাম কমেছে ১১টির এবং ১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
[৭] বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতনের সঙ্গে ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৪৩৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২ হাজার ৫০২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৬৩ কোটি ৬ লাখ টাকা।
[৮] টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের শেয়ার। কোম্পানিটির ১২৯ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ১১৪ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১০৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা।
[৯] এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, ডেল্টা লাইফ, পাওয়ার গ্রীড, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স, বেক্সিমকো ফার্মা, জিনেক্স ইনফোসিস এবং বসুন্ধরা পেপার।
[১০] অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৩৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭৯ কোটি ৬ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩২১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৭৭টির এবং ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সম্পাদনা : ভিকটর রোজারিও