মোহাম্মদ আলী বোখারী: পঞ্চাশের কাছাকাছি বয়সী শিক্ষক মুহিবুল্লাহ হয়ে ওঠেছিলেন আন্তর্জাতিক সভা-সম্মেলনে মুসলিম জাতিসত্তা গোত্রের একজন প্রতিনিধিত্বশীল উদ্বাস্তু মুখপাত্র। ২০১৯ সালে ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্পর্কিত বিষয়ে এই নেতা তদানিন্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করে মিয়ানমারে চলমান রোহিঙ্গাদের নিপীড়ন-নিষ্পেষণের আর্তিটি তুলে ধরেন, যে কারণে এ যাবৎ তাদের কমপক্ষে ১১ লাখ মানুষ বাংলাদেশে মানবেতর পর্যায়ে আশ্রিত। অথচ গত বুধবার শেষ বেলায় অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে এই নেতাকে আঁততায়ীরা খুন করেছে, যা কানাডাসহ বিশে^র অপরাপর গণমাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছে।
সর্বশেষ যুক্তরাজ্যের গার্ডিয়ান পত্রিকার রেবেকা র্যাটক্লিফ ও রেদওয়ান আহমেদ রচিত এক হৃদয়স্পর্শী প্রতিবেদন ছাড়াও বিশ্বের অপরাপর গণমাধ্যম ও অপরাপর অধিকার সংগঠনসমূহ দাবি জানিয়েছে এই হত্যাকার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া চাই পাশাপাশি রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের বিষয়টি দ্রত সমাধা হোক। এতে বোধ করি, বিশ্ব ভুলে যায়নি জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনে মুহিবুল্লাহর ভাষণ। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘ভাবুন, আপনার কোনো পরিচয় নেই, কোনো জাতিসত্তা নেই, এমনকি কোনো দেশ নেই। কেউ আপনাকে গ্রহণ করতে চায় না। তাহলে কেমন অনুভব করবেন? সেই যাতনাই আজ আমরা রোহিঙ্গা হিসেবে উপলব্ধি করছি।’