আখিরুজ্জামান সোহান: [২] রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, রূপকল্প ২০৪১ এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ২০৩০ বাস্তবায়নে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাসস
[৩] আজ ২ অক্টোবর ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
“শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) কর্তৃক ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস’ উদ্যাপনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান।
[৪] তিনি বলেন, একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উৎপাদনশীলতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টেকসই উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির জন্য উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
[৫] তিনি বলেন, বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে উৎপাদনশীলতা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় উৎপাদনশীলতা’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
[৬] রাষ্ট্রপতি বলেন, মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার মান, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড নৈপুণ্য এবং প্রাতিষ্ঠানিক কার্যাবলীর গুণগতমানের সাথে উৎপাদনশীলতা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এজন্য কৃষি, শিল্প ও সেবাসহ প্রতিটি সেক্টরে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি দেশের বেসরকারি সকল শিল্প ও সরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উদ্যাপনের মাধ্যমে সাধারণ জনগণের নিকট উৎপাদনশীলতার গুরুত্ব যথাযথভাবে তুলে ধরা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
[৭] সেজন্য প্রতিটি অর্থনৈতিক সেক্টরে উৎপাদশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস ২০২১’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।