লুৎফর রহমান হিমেল : ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। এ নামটি ফেসবুকে এ মুহূর্তে সার্চ করতে গিয়ে দেখলাম ফেসবুক বলছে, পপুলার নাও। মানে নামটি এ মুহূর্তে জনপ্রিয়! মানে ফারহানা নামের যে মানুষটি তিনি এ মুহূর্তে খুব জনপ্রিয় একজন কেউ! ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে আমি চিনতাম না, জানতামও না। এখন কিছুটা চিনছি। জানছি। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এ কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে। তিনি আলোচনায় উঠে এসেছেন। গোটা বাংলাদেশ এখন তাকে চিনছে। তাহলে বলা যায় তিনি এখন আলোচিত মানুষ। ফেসবুক যেটা বলছে, তিনি এ মুহূর্তে জনপ্রিয়। পপুলার মানেই কি জনপ্রিয়? পপুলারের আক্ষরিক অর্থ জনপ্রিয় হলেও ফারহানা এখন কিন্তু মোটেও তা নন। কারণ সোশ্যাল মিডিয়ায় এ মুহূর্তে ফারহানার প্রশংসা কেউই করছে না।
সমালোচনা এমনকি গালিগালাজও করছে। ফলে তাকে ‘মোস্ট ডিসকাস্ড’ বা ‘মোস্ট ফিগারড’ এ জাতীয় কিছু বলতে পারতো ফেসবুক। ফারহানার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের দিকে যাবো না। কারণ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি হয়েছে। ফারহানাও তার ওপর দেওয়া তিনটি দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। সত্যানুসন্ধানের পর জানা যাবে আসল ঘটনা। তার আগে তাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে দোষী সাব্যস্ত করার পক্ষে নই। আমি শুধু এই লেখায় সোশ্যাল মিডিয়ার ‘ভুল’ উপস্থাপনের ওপর আলো ফেলতে চেয়েছি। যেমনটা চিত্রনায়িকা পরীমনি কিংবা হিরো আলমসহ এরকম বহু ‘আলোচিত’ পাবলিক ফিগারের ব্যাপারে আমি এর আগেও আলোচনা করেছি। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :