শিরোনাম
◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০১:৪০ রাত
আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০১:৪০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্রিটেনে তরুণীকে তুলে নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তার ধর্ষণ-হত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বুধবার লন্ডনের একটি আদালতে এই ধর্ষণ ও হত্যা মামলার শুনানির সময় আইনজীবীরা এসব তথ্য দিয়েছেন।

করোনাভাইরাস মহামারিতে বিপর্যস্ত ব্রিটেনে গত মার্চে লকডাউন চলাকালীন সারাহ এভারার্ড নামের ওই তরুণীর হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনা দেশটিতে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করে। সারাহর নিখোঁজের ঘটনায় ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়। একই সঙ্গে রাস্তায় নারীদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

প্রতিবাদের মুখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করে। লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের অভিজাত কূটনৈতিক সুরক্ষা শাখায় কর্মরত ৪৮ বছর বয়সী ওয়েন কুজেন্স নামের এক পুলিশ কর্মকর্তা গত জুলাইয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় সারাহকে অপহরণ, ধর্ষণ এবং হত্যার কথা স্বীকার করেন।

দক্ষিণ লন্ডনের ক্ল্যাফামে এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে যাওয়ার সময় সারাহকে করোনাবিধি লঙ্ঘনের দায়ে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ কর্মকর্তা ওয়েন। তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। আলামত ধ্বংস করতে ওই তরুণীর মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে দেহাবশেষ একটি জঙ্গলে ফেলেন দেন ওয়েন।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আদালতে দায়েরকৃত মামলার শুনানিতে আইনজীবী টম লিটল বলেন, গত ৩ মার্চ মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ ৩৩ বছর বয়সী সারাহকে টার্গেট করেন ওয়েন। ওই সময় তার বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসের বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন তিনি।

লন্ডনের আদালতের এই আইনজীবী বলেন, ওই ঘটনার সময় দায়িত্বরত ছিলেন না ওয়েন। তিনি সারাহকে ‘ভুয়া গ্রেফতার’র মাধ্যমে অপহরণ করেন। তাকে হাতকড়া পরিয়ে ওয়োরেন্ট কার্ড দেখান তিনি।

পুলিশের নিরাপত্তা ক্যামেরা ফুটেজে দেখা যায়, সারাহকে গাড়িতে তুলে নেওয়ার আগে পুলিশ কর্মকর্তা ওয়েন ওয়ারেন্ট কার্ড দেখান এবং হাতকড়া পরান। পাশ দিয়ে গাড়িতে করে চলে যাওয়া এক দম্পতি এ ঘটনা দেখেন। তারা মনে করেছিলেন, আন্ডারকাভার কোনও পুলিশ কর্মকর্তা হয়তো কাউকে গ্রেফতার করছেন।

আইনজীবী বলেন, লকডাউন বিধিনিষেধ প্রয়োগকারী ওয়েন তার জ্ঞান এবং পুলিশ টহলের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছেন। কোন ধরনের ভাষা ব্যবহার করতে হবে তা তিনি জানতেন।

সারাহর সাবেক একজন প্রেমিক বলেছেন, সারাহ বুদ্ধিমান এবং তার রাস্তায় চলাচলের জ্ঞান ছিল। জোরাজুরি করে অথবা ভুল বুঝিয়ে কোনও অপরিচিত ব্যক্তি তাকে গাড়িতে তুলতে পারতো না।

অপহরণ, ধর্ষণ এবং হত্যার এই মামলায় লন্ডন পুলিশের সাবেক এই কর্মকর্তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে আদালত রায় ঘোষণা করবেন। ঢাকাপোস্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়