নুর উদ্দিন : [২] সুনামগঞ্জের ছাতকে এরার ৩৬টি পূজামণ্ডপে হবে সনাতন ধর্মাবলম্বিদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। দুর্গোৎসব পালন উপলক্ষে ইতিমধ্যেই মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে উৎসবের জমকালো প্রস্তুতি।
[৩] উৎসবের আগমনী বার্তায় মুখরিত হয়ে উঠেছে উপজেলার ৩৬টি পূজা মণ্ডপ। আগামী ১১ অক্টোবর শুরু হবে শারদীয় দুর্গোৎসব।
[৪] পৌর শহরে ১২টি পূজা মণ্ডপে দুর্গোৎসব পালিত হবে। ইতিমধ্যেই খড়-খুটা ও মাটির কাজ শেষ করে প্রতিমায় রং করার প্রস্তুতি চলছে। এদিকে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে আকর্ষনীয় সাজ-সজ্জা ও লাইটিংয়ের কাজ। ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পী ও ডেকোরেশন কারিগররা।
[৫] এবছর ৩৭টি পূজা মণ্ডপে দুর্গোৎসব পালিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনিবার্য কারণ বশত: ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের অঙ্গিকার যুব সংঘের পূজা মণ্ডপে এ বছর দুর্গোৎসব পালিত হচ্ছে না। ফলে এ বছর ৩৬টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব উৎসব পালিত হবে।
[৬] শারদীয় উৎসব উপলক্ষে ইতিমধ্যেই পৌর পরিষদ ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের সাথে তার মন্ডলীভোগস্থ বাসভবনে মতবিনিময় করেছেন। এছাড়া উপজেলার সবকটি পূজা কমিটি ও সনাতন ধর্মাবলম্বি নেতৃবৃন্দের সাথে পৃথক মতবিনিময় সভা করে সরকারি নির্দেশ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসব পালন করার জন্য মতামত দেয়া হয়। সভায় পূজা চলাকালীন সময়ে নিরাপত্তা ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হয়।
[৭] উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট. পীযুষ ভট্টাচার্য্য জানান, পূজা চলাকালীন সময়ে শব্দজনিত বা যে কোন কারণে অন্য ধর্মের উপাসনায় যাতে কোন ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয়, সে জন্য প্রত্যেক পূজা কমিটিকে কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বরাবরের মতো এ বছরও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় সুন্দর ও স্বার্থকভাবে শারদীয় উৎসব পালিত হবে।