শঙ্কর মৈত্র: হিন্দু সম্প্রদায়ের পারিবারিক আইন পরিবর্তন করার জন্য শাহীন আনাম, এঞ্জেলা গোমেজসহ কিছু এনজিও উঠেপড়ে লেগেছেন কেনো? কোনো সম্প্রদায়ের হাজার বছরের চলা প্রথা পরিবর্তন করতে হলে আগে সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলুন। সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষকে বোঝান। এনজিওর প্রচুর টাকা যেহেতু আছে, গ্রামাঞ্চলে এ সম্প্রদায়ের অ-সচেতন লোকজনকে মোটিভেট করুন। সম্প্রদায়ের নেতৃত্ব পর্যায়ে যারা আছেন তাদের নিয়ে আলোচনা করুন। তা না করে ঢাকায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে গোলটেবিল বৈঠক করে একটি সম্প্রদায়ের হাজার বছরের প্রথা পরিবর্তন করতে পারবেন না, করা উচিতও না। এনজিওর নামে বিদেশ থেকে কিছু টাকা পয়সা আনতে পারবেন আর একটি সম্প্রদায়কে বিতর্কে ফেলবেন। আমিও মনে করি হাজার বছরের পুরনো প্রথার অনেককিছুই আধুনিক যুগের সঙ্গে যায় না। অনেক কু-সংস্কার রয়েছে। আর কুসংস্কার থেকে সৃষ্টি হয় অমানবিকতা।
এটা সব সম্প্রদায়ের মধ্যেই আছে। ধর্মগুলোতে কুসংস্কার আরও বেশি আছে। কিন্তু যেহেতু এসব প্রথা মানুষ বিশ্বাস করে ফলে আপনার কাছে যা কুসংস্কার মনে হয় অন্যজনের কাছে সেটা পবিত্র। আমি মনে করি কোনো সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য আর প্রথা হুট করে পরিবর্তন করা যাবে না। সমাজকে সামনে এগুতে হলে রাষ্ট্রে সার্বজনীন আইন দরকার। বাংলাদেশে সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের লোকজনের জন্য একটা কমন পারিবারিক আইন দরকার। নারী পুরুষের সম্পদের অধিকার, পারিবারিক অধিকার সবকিছুই নিশ্চিত করবে কমন পারিবারিক আইনে। এক আইনে চলবে দেশ। শ্রদ্ধেয় শহীন আনাম ও এঞ্জেলা গোমেজসহ যারা শুধু হিন্দু আইন পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন, তা না করে দেশের সব নারী-পুরুষের জন্য পারিবারিক ‘কমন ল’ করার কথা ভাবলে সমাজ ও দেশের জন্য ভালো হবে। ফেসবুক থেকে