নিউজ ডেস্ক : [২] শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ইভানা লায়লা চৌধুরীর (৩২) বাবা আমান উল্লাহ চৌধুরী শাহবাগ থানায় এই মামলা করেন। মামলা নম্বর ৪১। মামলার আসামিরা হলেন- মৃত ইভানার স্বামী আবদুল্লাহ মাহমুদ হাসান রুম্মান ও ইমপালস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক মুজিবুল হক মোল্লা। সারাবাংলা
[৩] এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. সরোয়ার জানান, ‘৩০৬ ও ১০৯ ধারায় দুই জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
[৪] ইভানার বাবা আমান উল্লাহ চৌধুরী বলেন, গতকাল মামলা না নেওয়ায় হতাশ হয়ে বাসায় ফিরেছিলাম। থানা থেকে আজ ওসি ফোন করে আসতে বলায় এসেছি। আজ মামলা নিয়েছে। এখন সুষ্ঠু তদন্তের আশা করছি থানা থেকে বেরিয়ে ।
[৫] এর আগে ইভানার বাবা এ এস এম আমান উল্লাহ চৌধুরী শুক্রবার সন্ধ্যায় মামলার আবেদন করেন। এজাহারে অভিযোগ করা হয় ‘মানসিক যন্ত্রণা দিয়ে এবং ঘুমের ওষুধের নামে ক্ষতিকর ও আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়িয়ে দেয় এমন ওষুধ প্রেসক্রাইব করে ইভানাকে ধীরে ধীরে হত্যা করা হয়েছে।
[৬] শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার বলেন, ‘গতকাল ফিরে গেলেও আজ তাদের মামলা রুজ্জু করা হয়েছে। মামলায় দুই জনকে আসামি করেছেন বাদী। আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
[৭] এজাহারে ইভানার বাবা এ এস এম আমান উল্লাহ চৌধুরী উল্লেখ করেন বিয়ের শুরুতেই ইভানাকে তার স্বামী রুম্মান শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। কিছুদিন আগে ইভানা জানতে পারে যে, রুম্মান ২ নং আসামি ব্যারিস্টার সানজানা ইয়াসিন খানের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত। সানজানার স্বামীর নাম ব্যারিস্টার হারুন উর রশীদ খান। ইভানা তার স্বামী রুম্মান ও সানজানার মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে প্রেমালাপের প্রমাণ পায় এবং তার স্ক্রিনশর্ট তুলে বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীদের কাছে মেসেঞ্জারে পাঠায়। ইভানা আরও জানায় বেশ কিছুদিন ধরে রুম্মান তাকে ঘুমের ওষুধ খাওয়াচ্ছিল যাতে নির্বিঘ্নে সানাজানার সাথে ফোনে প্রেমালাপ করতে পারে।
[৮] উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও ইভানার বাবার মামলা নেয়নি থানা পুলিশ। এ ঘটনায় আগে হওয়া অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে বাবার দেওয়া অভিযোগ তদন্ত করবে- পুলিশ এমনটা জানিয়ে তাকে বিদায় করে দেয়।
আপনার মতামত লিখুন :