মাজহারুল ইসলাম : [২] ইংরেজি মাধ্যম স্কুল স্কলাসটিকার ক্যারিয়ার গাইডেন্স কাউন্সিলর ইভানা লায়লা চৌধুরীর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় মামলার আবেদন করা হলে সেটিকে মামলা হিসেবে রেকর্ড করেনি শাহবাগ থানা পুলিশ। ইভানার মৃত্যুতে আগেই ইউডি মামলা থাকায় সেটির সঙ্গে এই অভিযোগের তদন্ত করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। সারাবাংলা
[৩] বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, ইভানার পরিবার ও সিনিয়র আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে আদালতে মামলা করা হবে।
[৪] ইভানার বাবা এ এস এম আমান উল্লাহ চৌধুরী শুক্রবার সন্ধ্যায় মামলার আবেদন করেন। এজাহারে অভিযোগ করা হয় ‘মানসিক যন্ত্রণা দিয়ে এবং ঘুমের ওষুধের নামে ক্ষতিকর ও আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়িয়ে দেয় এমন ওষুধ প্রেসক্রাইব করে ইভানাকে ধীরে ধীরে হত্যা করা হয়েছে।
[৫] মামলার এজাহারে ইভানার স্বামী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ মাহমুদ হাসান রুম্মানকে ১ নম্বর আসামি, তার প্রেমিকা ব্যারিস্টার সানজানা ইয়াসিন খানকে ২ নম্বর আসামি ও অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হককে ৩ নম্বর আসামি করা হয়।
[৬] রমনা জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, ইভানার বাবা যে অভিযোগ দিয়েছেন সেটিকে সাপ্লিমেন্টরি হিসেবে নেওয়া হবে। অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে ইভানার বাবার অভিযোগ বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করা হবে। তদন্তে যদি আত্মহত্যার প্ররোচনাজনিত কোনো উপাদান পাওয়া যায় তাহলে সেটিকে নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজ্জু করা হবে।
[৭] এজাহারে ইভানার বাবা এ এস এম আমান উল্লাহ চৌধুরী উল্লেখ করেন বিয়ের শুরুতেই ইভানাকে তার স্বামী রুম্মান শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। কিছুদিন আগে ইভানা জানতে পারে যে, রুম্মান ২ নং আসামি ব্যারিস্টার সানজানা ইয়াসিন খানের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত। সানজানার স্বামীর নাম ব্যারিস্টার হারুন উর রশীদ খান। ইভানা তার স্বামী রুম্মান ও সানজানার মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে প্রেমালাপের প্রমাণ পায় এবং তার স্ক্রিনশর্ট তুলে বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীদের কাছে মেসেঞ্জারে পাঠায়। ইভানা আরও জানায় বেশ কিছুদিন ধরে রুম্মান তাকে ঘুমের ওষুধ খাওয়াচ্ছিল যাতে নির্বিঘ্নে সানাজানার সাথে ফোনে প্রেমালাপ করতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :