অনলাইন ডেস্ক: পরিকল্পনা ছিল বাবাকে সঙ্গে নিয়ে দুপুরের খাবার খাবেন। সে পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি হোটেলেও ঢুকলেন। বাবাকে নিয়ে হোটেলে ঢুকে মুখোমুখি বসলেন। মুহূর্তেই খাবার টেবিলের চেয়ার থেকে ঢলে পড়লেন ছেলে। ঢাকা পোস্ট
মেঝেতে পড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা গেলেন ছেলে রায়হান হাসনাত চৌধুরী। বুধবার দুপুরে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে রাজধানী ঢাকার মহাখালীর একটি রেস্তোরাঁয়।
নিহত রায়হানের বন্ধু রেদওয়ান আতিক জানান, রায়হানের বাবা ঢাকার নবাবপুরের একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসায়িক কাজে গতকাল তিনি গিয়েছিলেন গুলশানে। ছেলে রায়হান চাকরি করতেন মহাখালীতে নিটল গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে। মায়ের কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বেশ ব্যস্ততায় ছিলেন রায়হান।
বাবা গুলশান আসছেন জানতে পেরে দুপুরের খাবার একসঙ্গে খেতে বলেন ছেলে। তাতে সায় দিয়ে ছেলের সঙ্গে খেতে যান বাবা। দুজনে একসঙ্গে ঢোকেন মহাখালীর একটি হোটেলে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, বাবা-ছেলের একসঙ্গে খাওয়া হলো না। তার আগেই হঠাৎ বসা থেকে কাত হয়ে হোটেলের মেঝেতে পড়ে যান ছেলে রায়হান। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, ৩৭ বছর বয়সী রায়হান হাসনাত চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা আদর্শ সদর। যাত্রাবাড়ী সুরুজনগর কলোনির নিজ বাড়িতে থাকতেন তিনি। তার বাবার নাম আবুল হাসনাত চৌধুরী। ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ থেকে এইচএসসি শেষ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ করেছেন। দেশের বাইরে থেকে করেছেন এমবিএ। নিটোল মটরসে তার চাকরির বয়স ১২ বছর। রোমানা সরকার ও রায়হানের সংসারে ১৬ মাস বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
রায়হানের বন্ধু রেদওয়ান আতিক বলেন, আমাদের প্রিয় বন্ধু রায়হান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২০০২-০৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি খুবই আন্তরিক ছিলেন। মানুষের সঙ্গে সহজেই মিশে যেতে পারতেন। অন্যের বিপদে নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে সাহায্য করতেন। আল্লাহ রায়হানের শিশু মেয়ে, স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের এই শোক সইবার শক্তি দিন।
শুক্রবার নামাজে জানাজা শেষে রায়হানকে বায়তুল আমান জামে মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :