সাকিবুল আলম:[২] রাজধানী ইসলামাবাবাদ থেকে বিবিসিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,আফগানিস্তানকে কোনোভাবেই সন্ত্রাসীদের স্বর্গভূমিতে পরিণত হতে দেওয়া যাবে না। বিবিসি
[৩] ইমরান খান বলেন, তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ও প্রতিবেশী দেশগুলোর সম্মিলিত সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। তালিবানের কট্টোর শরিয়া আইন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, নারী শিক্ষা বিরোধীতার সঙ্গে ইসলামের কেনো সম্পর্ক নেই। নারীদের প্রতি রক্ষণশীল আচরণ আফগানিস্তানের ঐতিহ্যগত বৈশিষ্ট্য হতে পারে কিন্তু নারীদের শিক্ষাগ্রহণ,পর্দা প্রথা মেনে কর্মক্ষেত্রে যোগদানের ব্যাপারে ইসলামে কোনো ধরনের বিধি-নিষেধ নেই। ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণেই এ ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য করা হয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন তিনি।
[৪] নবগঠিত তালিবান সরকার প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন,মাত্র একমাস হলো তারা দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত হয়েছে। ২০ বছরের দীর্ঘ গৃহযুদ্ধ শেষে তারা কেবল ক্ষমতায় আহরণ করলো। এখনই মূল্যায়নের সময় আসেনি। দেশ গঠনে তাদের আরো কিছুদিন সময় দেওয়া উচিৎ।
[৫] বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকেই মানবাধিকার সংগঠনগুলো আফগানিস্তানে নারী অধিকার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
[৬] তালিবান সরকারের নীতিমালা ও তাদের সমর্থন দেওয়া প্রসঙ্গে ইমরান খান জানান, সরকার গঠনের আগে তারা যেসব অঙ্গিকার করেছিলো সেবিষয়ে একমত হলেও আফগানিস্তানের রাজনীতি কোন দিকে মোড় নেবে তা জানেন না তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :