জাহিদুল কবির: [২] যশোর সদর উপজেলার দৌলদিহি গ্রামে ১৪ বছরের এক কিশোরি গণধর্ষনের শিকার হয়েছে। ওই কিশোরি অন্তসত্ত্বা হলে ঘটনাটি জানাজনি হয়। এঘটনায় ওই কিশোরির মা তিন কিশোরের নামে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলার আসামিরা হচ্ছে দৌলদিহি গ্রামের তরিকুলের ছেলে অনিক বিশ্বাস। অনিকের সহযোগি একই গ্রামের বিশ্বাসের ছেলে অপু ও ঠান্ডু বিশ্বাসের ছেলে সোহান। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি অনিককে আটক করেছে। ধর্ষক কিশোরদের সকলের বয়স ১৬-১৭ বছর। ধর্ষনের শিকার ওই কিশোরির আদালতে জবান বন্দি নেয়া হয়েছে।
[৩] ধর্ষিতার মা ১৮ সেপ্টেম্বর শনিবার কোতয়ালি থানায় দায়েরকৃত মামলায় উল্লেখ করেন, কিশোর ধর্ষকরা বাদির প্রতিবেশী। বাদির মেয়ে ওই কিশোরী (১৫) গত ১০ মার্চ তার বড় বোনের ডেলিভারী করার জন্য দুপুরে যশোরের একটি ক্লিনিকে যায়। সেখান থেকে দুপুর আড়াইটায় নবজাতক বাচ্চা বড় মেয়ে ও ছোট মেয়েসহ বাড়িতে চলে আসে।
[৪] এর ছয় মাস পর হঠাৎ ছোট মেয়ের পেট অস্বাভাবিক ভাবে ফুলে যাওয়ায় তাকে যশোরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা নিরিক্ষা করে জানা যায় ছোট মেয়ে ৬ মাসের অন্তসত্বা। ছোট মেয়েকে বাদি জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তার মাকে জানায়, গত ১০ মার্চ সন্ধ্যা অনুমান ৭ টায় বাদির বসত বাড়ির পশ্চিম পাশের্^র একটি কক্ষে অনিক বিশ্বাস বাদির ছোট মেয়ে কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে।
[৫] পরের দিন ১১ মার্চ রাত অনুমান ৮ টায় বাড়ির পশ্চিম কক্ষের পিছনে কলাবাগানের মধ্যে নিয়ে কিশোর অনিক ও অপু বিশ্বাস ও সোহান বিশ্বাস পালাক্রমে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। তার পরের দিন ১২ মার্চ রাত অনুমান সাড়ে ৮ টায় ওই কলাবাগানের মধ্যে অনিক বিশ^াস জোর পূর্বক ধর্ষন করে। কিশোরী মেয়ের কাছে শুনে বাদি তার পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বার্তা বলে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালি থানা পুলিশ পরিদর্শক শাহজাহান আহমেদ জানান, শনিবার রাতে অনিক বিশ^াসকে গ্রেফতার করা হয়। অনিক বিশ^াসকে রোববার ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে সোপর্দ করা হয়। একই দিনই অতিরিক্ত চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মারুফ আহমেদের আদালতে ২২ ধারায় ধর্ষিত কিশোরির জবান বন্দি গ্রহন করা হয়।