জাহিদুল কবির: [২] মণিরামপুরে শেওলা বিক্রি নিয়ে কথাকাটাকাটির জেরে বিকাশ বিশ্বাস (২৭) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
[৩] শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়নের তেঁতুলিয়ায় ঘটনাটি ঘটে। বিকাশ ওই এলাকার দেবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের ছেলে। পেশায় তিনি চা বিক্রেতা ছিলেন।
হরিহরনগর ইউপির এক নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোসলেম আলী গাজীসহ নিহতের পরিবার জানান, বিকাশের তেঁতুলিয়া মোড়ে চা দোকান রয়েছে। তার বড় ভাই রবিন বিশ্বাসের মাছের ঘের আছে। মাছের খাদ্য হিসেবে শেওলা কিনে ঘেরে দেন রবিন।
[৪] বুধবার ১৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে তেঁতুলিয়া মোড়ে শেওলার দর নিয়ে একই এলাকার নাজের শেখের ছেলে আলমগীর হোসেন রবিনের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়ান। এসময় বিকাশ এগিয়ে গিয়ে প্রতিবাদ করলে আলমগীর বাঁশ দিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন। এরপর আশপাশের লোকজন এসে বিকাশকে স্থানীয় চিকিৎকের কাছে নেন। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন বিকাশ।
[৫] বিকাশের ভাবি চম্পা রানি বলেন, ‘আঘাতে বিকাশের মাথার ভিতরে রক্তাক্ত জখম হয়। দুই দিন বাড়ি থেকে চিকিৎসা নেয় সে। এরপর শনিবার ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে নিজের দোকানে ছিল বিকাশ। রাত সাড়ে আটটার দিকে হঠাৎ নাখ মুখ দিয়ে রক্ত উঠে ঘটনাস্থলে মারা যায় সে।’
[৬] ইউপি সদস্য মোসলেম আলী বলেন, বৃহস্পতিবার ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলের ঘটনাটি শুক্রবার ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে এলাকাবাসী বসে মীমাংসা করেছেন। এরপর শনিবার রাতে হঠাৎ বিকাশ মারা যান।
[৭] এদিকে খবর পেয়ে শনিবার রাতে বিকাশের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ঝাঁপা ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ উপ পরিদর্শক (এসআই) ওয়াসিম আকরাম বলেন, মাছের খাদ্য শেওলা বিক্রি নিয়ে একটি গন্ডগোল হয়েছিল। বিকাশের মৃত্যু সেই কারণে কিনা সেটা নিশ্চিত হতে মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।