শিমুল মাহমুদ: [২] ‘নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং বাংলাদেশে গনতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক ওয়েবিনার অনুষ্ঠানে এ আহবান জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সাউথ এশিয়া ইয়ুথ ফর পিস এন্ড প্রসপারিটি সোসাইটির এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
[৩] ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চার ইতিহাস সুদীর্ঘ নয়। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য রাষ্ট্রীয় অঙ্গসমূহ ঘুণে ধরা এবং দুর্নীতিগ্রস্থ। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পুর্বে দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ও মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের পুর্বে যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে বর্তমান দলীয় সরকারের পতনের আন্দোলনে সকলকে রাজপথে নামতে হবে।
[৪] সরকারের উদ্দেশ্য করে নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে চান তা কখনোই বর্তমান আওয়ামী সরকারের দ্বারা পুরণ হবে না। এই বিষয়ের সমাধান রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমেই রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করতে হবে।
[৫] বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন ঠুটো জগন্নাথের মত আচরণ করছে। নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য করা সার্চ কমিটি একটি প্রহসন মাত্র, যার মাধ্যমে মুলত সরকার দলের পছন্দের লোকজন কমিটিতে জায়গা পান।
[৬] সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলন বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভ্যাকসিন হল নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকার ও নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশনারবৃন্দ কারা হবেন তা সাংবিধানিকভাবে সংসদে পাশ হতে হবে। সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের জন্য যে আইন আছে, বর্তমান দলীয় সরকারের আজ্ঞাবহ এই নির্বাচন কমিশন সে আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ এবং পালন করতে পারছে না।