অনির্বান মৈতি: এই কথাটা কলকাতায় বসে একজন অবাঙালি ব্যবসায়ী বলার স্পর্ধা দেখাচ্ছেন, তাও আবার একজন বাঙালিকেই। দেখাচ্ছেন কারণ আমরা চুপ আছি। সিনেমার ব্যবসার দায়িত্ব অন্যের হাতে দিয়ে ক্রিয়েটিভিটি মারাচ্ছি, তাই সাহস পাচ্ছেন। এই কথা একজন অতামিল, অমালায়ালী বা অতেলেগু সে রাজ্যগুলোতে বসে বলতে পারবে না, কারণ সাহস নেই। আমরা সাহস দিচ্ছি তাই সাহস পাচ্ছে। যেদিন এই সাহস দেখানোর রাস্তা বন্ধ করে দেবো সেদিন আর শুনতে হবে না। এবার কথা হচ্ছে সেই রাস্তা বন্ধ হবে কি করে? এই আলোচনায় ঢুকলেই কেউ না কেউ কমেন্ট বক্সে এসে বলবেন আসলে বাংলা ছবিই ভালো হয় না।
তাই দর্শক যায় না। সেই অভিযোগ মাথা পেতে নিই। সত্যিই আমরা ভালো ছবি দর্শককে দিতে পারছি না। অনেক দুর্বলতা আছে। কিন্তু অনবরত চেষ্টা করে যাচ্ছি। বাঙালি দর্শক ইন্টেলেকচুয়াল তাদের ঠকানো যায় না। কিন্তু তারা কি হই হই করে পাতালঘর দেখতে গেছে? যদি যেতো তাহলে বাংলা ছবি সেই দিনই একটা নতুন ট্রেন্ড সেট করতে পারতো। বাকিটা ব্যক্তিগত দেখে নি, পিউপা দেখেনি, সহজ পাঠের গপ্পো দেখেনি, তাহলে ভালো ছবি কোনগুলো? তামিল যে ছবিগুলো নিয়ে তামিলদের পাগলামো আছে সেগুলো কপি করেও দেখা গেছে দেখেনি। বাঙালি ফ্রিতে ছাড়া সিনেমা দেখবে না? যাই নতুন ছবির আলোচনা ফেসবুকে দেখি, সেখানে সবাই ইউটিউব নয়তো টরেন্ট লিঙ্ক চায়। এটাকে অপরাধই মনে করে না। এই স্বভাব না গেলে কখনোই ভালো ছবি বানানো সম্ভব না। কখনোই কলকাতায় বসে ‘বাংলা ফিল্ম কিউ লাতে হে? এই প্রশ্নকে এড়ানো সম্ভব না।
কিছুদিন আগে একটি এফ এম থেকে একটা ইন্টারভিউ নিতে এসেছিলো তাদের সরাসরি বললাম ‘আপনাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, আপনারা বাংলা গান বাজান না’। শুনে বললো কেন দাদা প্রতি শনিবার তো বাংলা গানের একটা অনুষ্ঠান রাখছি। এটা আমাকে একজন বাঙালিই বললেন। তোর রক্ত কবে গরম হবে রে ফয়জল? ফেসবুক থেকে