সমীরণ রায় : [২] মঙ্গলবার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরীফুল রহমান এ আদেশ দেন।
[৩] মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জামালপুরের নুরু রাজাকারের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়ার পাশাপাশি আওয়ামী লীগে স্বাধীনতাবিরোধীরা রয়েছে। এছাড়া মামলার বাদী সরকারি কৌঁশুলি অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদার ও তার বাবা হাসেম সরদারসহ ২৩ জনকে রাজাকার বলে উল্লেখ করেন রিজভী।
[৪] এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাদী দেলোয়ার হোসেন সরদারের মানহানি হওয়ায় ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি গোপালগঞ্জ আদালতে ১০০ কোটি টাকার মানহানির একটি মামলা দায়ের করেন।
[৫] এরপর মামলাটির দীর্ঘ তদন্ত শেষে সিআইডি ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রুহুল কবির রিজভীকে আসামি করে এবং দৈনিক যুগান্তরের প্রকাশক সালমা ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলমকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে ২ সেপ্টেম্বর রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে সমন জারি করেন আদালত। কিন্তু মঙ্গলবার মামলার ধায্য তারিখে তিনি হাজির না হওয়ায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
[৬] মামলার বাদী ও সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন সরদার জানান, মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, তার নিজের এবং তার বাবার সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। এ কারণে তিনি রিজভীর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করেন। সম্পাদনা : ভিকটর রোজারিও
আপনার মতামত লিখুন :