রাশিদুল ইসলাম : [২] গল্প ফুরিয়ে যায়নি, ওসামা বিন লাদেনের ভবিষ্যদ্বাণী সত্য হয়েছে, তিনি যুক্তরাষ্ট্র এবং তালেবানের আলোচনা হতে পারে বলে পূর্বাভাসও দিয়েছিলেন। পাকিস্তানের প্রখ্যাত সাংবাদিক হামিদ মীর তার কলামে একথা বলেছেন।
[৩] তিনি লিখেছেন আল-কায়েদা এখনও আফগানিস্তানে রয়ে গেছে এবং তাদের অনুসারীরা বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। ইসলামিক স্টেটের (আইএস) উত্থান দেখিয়েছে, বিন লাদেনের অনুসারীদের খুঁজে বের করার চেয়ে তাদের ধারণাগুলো বেশি হুমকির।
[৪] লাদেন আমাকে সাক্ষাতকারে বলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্র শিগগিরই তাদের পরাশক্তির খেতাব হারাবে এবং ভারতের বিরুদ্ধে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইরান এবং চীনের সমন্বয়ে একটি জোটের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
[৫] আফগানিস্তানের সম্পত্তি ফ্রিজ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু দেশ পরিচালনার জন্য তালেবানের অর্থ দরকার। দেশের ক্ষমতা কাঠামোতে নারী এবং অন্যান্য রাজনৈতিক গোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করতে তালেবানকে বাধ্য করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহার করা উচিত।
[৬] বিন লাদেন সামরিক শক্তির ব্যাপক ব্যবহারে যুক্তরাষ্ট্রকে উস্কে দিতে চেয়েছিলেন। কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, এটি সমাধানের চেয়ে সমস্যাই বেশি তৈরি করবে।
[৭] লাদেন আমাকে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাকে হত্যা করতে পারে; কিন্তু তাকে কখনও জীবিত ধরতে পারবে না। এটিও সঠিক প্রমাণিত হয়েছিল। চলুন তাকে আর অন্যান্য বিষয়ে সঠিক হতে না দেই।