মাসুদ আলম ও মিনহাজুল আবেদীন: [২] র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চক্রের মূলহোতা লিটন মিয়া ওরফে কথিত ডা. লিটন ও আজাদ রহমান খান। শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর ও উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪। তাদের কাছ থেকে প্রাইভেটকার, পাসপোর্ট, বিভিন্ন ব্যাংকের চেকবই, ল্যাপটপ, ৪০৭ ইয়াবা, ১২ ক্যান বিয়ার, নগদ টাকা ও বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে।
[৩] মঈন বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক একটি সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী চক্রের কর্ণধার। চক্রে দেশে-বিদেশে ১৫ থেকে ২০ জন সদস্য রয়েছে। চক্রটি বিভিন্ন প্রতারণামূলক ফাঁদে ফেলে উচ্চ বেতনের লোভনীয় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে মানব পাচার করে। পুরুষদের পাশাপাশি চক্রটি নারীদেরও পাচার করে থাকে।
[৪] তিনি বলেন, বিভিন্ন পেশায় দক্ষ নারী যেমন নার্স, পার্লার ও বিক্রয় কর্মীদের টার্গেট করে এই চক্রটি। চক্রটি মূলত মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিক, মার্কেট, সুপারশপ, বিউটি পার্লারসহ বিভিন্ন চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমদের আকৃষ্ট করতো। তাদের মলূ টার্গেট ছিলো বিদেশে চাকরিচ্ছুক দক্ষ নারীদের প্রলব্ধু করা। প্রতারণার কৌশল হিসেবে লিটন নিজেকে ঢাকা মেডিকেল থেকে পাস করা এমবিবিএস ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দিতেন। বলতো ইরাকের বাগদাদে একটি স্বনামধন্য হাসপাতালে কর্মরত। অপর সহযোগী গ্রেপ্তার আজাদ একটি এজেন্সির আড়ালে নারী পাচারের সঙ্গে যুক্ত।
[৫] তিনি আরও বলেন, চক্রটি বিদেশে পাচারের পর ভিকটিমদের অনৈতিক কাজের জন্য বিক্রি করে দিতো। ভিকটিমদের প্রথমে বাংলাদেশ থেকে ট্যুরিস্ট ভিসায় মধ্য প্রাচ্যের একটি দেশে নেওয়া হতো। এরপর ওই দেশে ১-২ দিন অপেক্ষা করিয়ে ভিজিট বা ট্যুরিস্ট ভিসায় ইরাকসহ অন্যান্য দেশে পাচার করতো। যাতায়াতের জন্য ভিকটিমদের কাছ থেকে ৩-৪ লাখ টাকা করে নেওয়া হতো। আবার তাদের প্রায় বাংলাদেশি সমমূল্যের তিন লাখের বেশি টাকায় বিক্রি করা হতো। এ চক্রটি ২০০-২৫০ জন মানব পাচার করেছে। এর মধ্যে ৩৫-৪০ জন নারী রয়েছে। লিটন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে নিয়ে নারীদের পাচার করতেন।
আপনার মতামত লিখুন :