শিমুল মাহমুদ: [২] বাংলাদেশে টিকা নেয়ার জন্য নিবন্ধন করার পরে এখন অপেক্ষায় রয়েছেন এক কোটি ৯৯ লাখের বেশি মানুষ। তাদের মধ্যে কেউ কেউ একমাসের বেশি আগে নিবন্ধন করলেও এখনো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোন বার্তা পাননি।
[৩] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে শনিবার পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছেন ১ কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৭ জন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৮৫ লাখ ২৬ হাজার ৩০৯ জন। তবে টিকা নেয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৩ কোটি ৯০ লাখ ২০ হাজার ৫১৯ জন।
[৪] সরকার দেশের মানুষের ৮০ শতাংশকে করোনার টিকা দিতে চায়। স্বাস্থ্য বিভাগ এ পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা দিয়েছে ১৪ শতাংশ মানুষকে। আর ৬.৩১ শতাংশের কিছু বেশি মানুষকে পূর্ণ দুই ডোজ টিকা দিতে পেরেছে। বর্তমান ধারায় টিকাদান চলতে থাকলে বাকি ৭৩ শতাংশকে টিকা দিতে ১০ বছরের বেশি সময় লেগে যাবে।
[৫] ঢাকার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার বলেন, প্রথমে টিকা নিতে অনেকেরই অনীহা ছিল, নিবন্ধনও কম ছিলো ফলে দুই-একদিনের মধ্যে এসএসএম পাঠানো সম্ভব হতো। এখন সে অবস্থা থেকে বেরিয়ে সবাই যখন আগ্রহী হলো, তখন নিবন্ধন কয়েক গুন বেড়ে গেছে।
[৬] তিনি বলেন, কেন্দ্রগুলোতে বরাদ্দ টিকার চেয়ে নিবন্ধনের করেছেন, কয়েকগুণ বেশি মানুষ। যারা নিবন্ধন করেছেন, সবাই টিকা পাবেন। টিকা সংকট নেই।
[৭] এমআইএসের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, বয়সসীমা কমিয়ে আনায় নিবন্ধন অনেক বেড়েছে। তাই তালিকাও লম্বা হচ্ছে। যারা নিবন্ধন করেছেন তারা সবাই টিকার বার্তা পাবেন। এসএমএস দেরি করে পাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন হবার কোনো কারণ নেই।
[৮] আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী গণটিকাদান কর্মসূচির দ্বিতীয় ডোজ শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তবে গণটিকা কর্মসূচির প্রথম দুই ঘণ্টায় টিকা গ্রহণে অগ্রাধিকার পাবেন বয়োজ্যেষ্ঠ ও নারীরা।
[৯] ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক জানান, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকার আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমাজকল্যাণ অধিদফতরের দেওয়া ‘সুবর্ণ কার্ডের’ মাধ্যমে নিবন্ধন করে টিকা দিতি পারবেন।
[১০] তিনি বলেন, যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তারা যেন জন্ম সনদ ব্যবহার করে নিবন্ধন করতে পারেন, আমরা সেই চেষ্টাও করছি। তবে সেই তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে আমাদের কাছে আসতে হবে।