রাজু চৌধুরী : [২] চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ থানাধীন হাশিমপুর এলাকায় আয়োজিত এক সভায় গুলিবর্ষণ ও নাশকতার মামলার প্রধান আসামী গিয়াস উদ্দিন ওরফে সুজনকে তার এক সহযোগীসহ ১ টি বিদেশী পিস্তল, ১ টি বিদেশী রিভলবার ও ১৩ রাউন্ড গুলিসহ আটক করেছে র্যাব-৭ , চট্টগ্রাম।
[৩] রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মোঃ নূরুল আবছার জানান, আটককৃত আসামি গিয়াস উদ্দিন ওরফে সুজন (৪১) চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ থানাধীন হাশিমপুর এলাকার আবদুল মোনাফের ছেলে এবং তার সহযোগী মাঈনউদ্দিন সাঞ্জু (৩৯) শরীয়তপুর জেলার দামুডা এলাকার মৃত আকা খলিলুর রহমানের ছেলে সে বর্তমানে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানাধীন খাজা রোড এলাকার বাসিন্দা।
[৪] র্যাব-৭ চট্টগ্রাম, চান্দগাঁও (সিপিসি-৩) এর স্কোয়ারড কমান্ডার এএসপি রকিবুল হাসান জানান, চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থানাধীন হাশিমপুর এলাকায় গত ৩০ আগস্ট এক আলোচনা সভায় গুলিবর্ষণ ও নাশকতার সৃষ্টি করে কতিপয় দুষ্কৃতকারী। উক্ত ঘটনায় চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের হয় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এরই প্রেক্ষিতে, উক্ত ঘটনায় র্যাব ছায়াতদন্ত শুরু করে ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগরীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে গিয়াস উদ্দিন ওরফে সুজন কে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানাধীন লালখান বাজারস্থ মতিঝর্ণা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তার সহযোগী আকা মাঈনউদ্দিন সাঞ্জুকে আটক করা হয়। এসময় ১ টি বিদেশী পিস্তল, ১ টি বিদেশী রিভলবার ও ১৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
[৫] তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা উক্ত নাশকতা ও গুলিবর্ষনের সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকার করেন এবং উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ অবৈধ বলে জানান। আটককৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান র্যাব-৭ কর্মকর্তা এএসপি মোঃ নূরুল আবছার।