মাসুদ আলম: [২] শনিবার পিবিআইয়ের মানিকগঞ্জ ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সিংগাইর থানার বড়বাকা এলাকায় শিশু আল-আমিনকে হত্যার ঘটনায় শুক্রবার তিন তরুণ হৃদয় হোসেন, সাদ্দাম হোসেন ও নাজমুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এলাকার স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের নজরে আসতে মোটরসাইকেল কেনার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন গ্রেপ্তারকৃতরা। কিন্তু পারিবারিক আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে মোটরসাইকেল কেনার পরিকল্পনা করেন।
[৩] তিনি আরও বলেন, টার্গেট করা ব্যক্তিরা বয়সে বড় হওয়ায় তারা আল আমিনকে অপহরণের পরীকল্পনা করে। ২৮ আগস্ট আল-আমিনকে সাইকেল চালানোর জন্য বের হলে বন্যার পানি দেখানোর কথা বলে বড় বাঁশঝাড় নিয়ে যায় হৃদয় । পরে নাজমুল ও হৃদয় তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর প্লাস্টিকের বস্তার ভেতরে মৃতদেহ ঢুকিয়ে হাঁটু পানিতে ডুবিয়ে রেখে বর্জ্যের বস্তা দিয়ে চাপা দেয়। নিহতের পরনের গেঞ্জি ও প্যান্ট মুক্তিপণ আদায়ের প্রমাণ হিসেবে খুলে রাখে। নাজমুলের ফোন থেকে হৃদয়, সাদ্দামকে ফোন দিয়ে বলে যে কাজ হয়ে গেছে। পরে ৩০ আগস্ট আবার লাশের বস্তাটি তুলে মাটিতে পুঁতে রাখে।
[৪] জাহাঙ্গীর আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের পরিকল্পনা ছিল শিশুটিকে হত্যার পর নতুন সিম থেকে শিশুর স্বজনদেরকে ফোন দিয়ে মুক্তিপণ আদায় করবে। কিন্তু সাদ্দাম ঘটনার দিন নতুন সিম সংগ্রহ করতে না পারার কারণে অল-আমিনের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। তাই তারা মুক্তিপণও চাইতে পারেনি। কিন্তু মুক্তিপণ চাওয়ার আগেই ৩১ আগস্ট স্থানীয়রা শিশুটির মৃতদেহ পেয়ে যাওয়ায় তারা এলাকা ছেড়ে পালানোর সিদ্ধান্ত নেয়।