সোহাগ গাজী: [২] দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অধীনস্ত চিরিরবন্দর জোনাল অফিসের সফ্টওয়্যার নষ্ট থাকায় ভূয়া বিল নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন এর অধীনে থাকা অর্ধলক্ষ গ্রাহক। বিল পরিশোধ করার পরও বিলের সঙ্ড়ে পূর্বের কয়েক মাসের বকেয়া বিল জুড়ে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।
[৩] সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার চুয়ান্ন হাজার গ্রাহক যাদের অধিকাংশই গ্রামের সাধারণ কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষ, যাদের বাড়িতে রাতের বেলা ২/৪টি লাইট, একটি টিভি অথবা কয়েকটি ফ্যান চলে, যাদের বাড়িতে এসি কিংবা ফ্রিজসহ অত্যাধুনিক ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতী নেই। সাধারণত তাদের মাসিক বিদ্যুৎ বিল ৩ থেতে ৫শ টাকা হ।, তাদেরকে দুই থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত বকেয়া বিল ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে। অনেকে না বুঝে আবার সেই টাকা পরিশোধও করেছেন।
[৪] চিরিরবন্দর উপজেলার আব্দুলপুর ইউনিয়নের ফলিমারিডাঙ্গা গ্রামের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক আনিসুর রহমান বলেন, আমাদের গ্রামের অনেকের বিলের সঙ্গে পূর্বের পরিশোধ করা বিল বকেয়া হিসেবে যোগ করে পূনরায় বিল দেয়া হয়েছে। আমরা পল্লী বিদ্যুতের অফিসে যোগাযোগ করেও এর সমাধান পাচ্ছি না।
[৫] উপজেলার পুনট্টি গ্রামের আবু তালেব মন্ডলের ছেলে মনির ইসলাম বলেন, আমার আগের বিল পরিশোধ করার পর সেই বিল আবার বকেয়া হিসেবে দেখানোয় আমি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ করার জন্য গিয়েছিলাম। সেখানে আমাকে বলা হয় আগের পরিশোধ করা বিলের কপি দেখাতে হবে, না হলে বকেয়াসহ পুরো বিলটিই পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু আমার আগের বিলের কাগজ কোথায় আছে খুজে না পাওয়ায় আমার বিলটি সংশোধন করতে পারিনি।
[৬] পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যুৎ বিল তৈরী করার জন্য সংশ্লিষ্ট রুমে ভীড় করছেন গ্রাহকরা। সকলেই একই অভিযোগ নিয়ে এসেছেন।
[৭] চিরিরবন্দর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের এজিএম ইসরাত সুলতানা বলেন, মাঝখানে আমাদের সফ্টওয়্যারে কিছু সমস্যা হয়েছিলো, সেজন্য আমরা বকেয়া বিলগুলো প্রিন্ট করতে পারছিলাম না। আমাদের গ্রাহকদের মধ্যে যারা বিকাশে বা টেলিটকে বিল পরিশোধ করেছেন তাদের গুলোতেও একটু সমস্যা আছে। যারা অফিসে অভিযোগ নিয়ে আসছেন তাদের সমাধান করে দেয়া হচ্ছে। সফ্টওয়্যার মেরামত করা হয়েছে এবং সামনে মাস থেকে এ সমস্যা থাকবে নাা। সম্পাদনা: হ্যাপি