সুজিৎ নন্দী: [২] এ বি এম আমিনউল্লাহ নুরী আরও বলেন, সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত ভবনের নিয়মবহির্ভূত অংশগুলো ভাঙার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঢাকার দুই সিটিতে সাড়ে তিন হাজার ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধ ভবন রয়েছে। আরো এক হাজার ভবন তদন্তাধীন।
[৩] শনিবার পুরান ঢাকার সূত্রাপুরের কলুটোলা এলাকার ৪৭/২ তনুগঞ্জ লেনে হেলেপড়া ছয়তলা ভবন ভাঙার কাজ পরিদর্শন করে তিনি এসব কথা বলেন।
[৪] রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে সঙ্গে নিয়ে আমরা একটা প্রকল্প নিয়েছি। বাস্তবায়ন করতে পারলে তা একটা মডেল হবে। আমরা দ্রুতই কাজ শুরু করতে চাই। প্রথম কাজ হবে বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ভবনের পাশের রাস্তাগুলো বড় করা।
[৫] তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী ভবন রক্ষা করা হবে, যে ভবন রাখা যাবে না, তা ভেঙে দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে আমরা একটা প্রকল্প দাঁড় করিয়েছি।
[৬] রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, ঢাকার নতুন ভবনও নকশার বাইরে করা হচ্ছে, এমন তথ্য পেয়েছি। গত দেড় বা প্রায় দুই বছর করোনা থাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বের হয়নি। এখন ১৯টি টিম কাজ করছে।
[৭] তিনি বলেন, গত ১৫ দিনে এক কোটি টাকার বেশি জরিমানা করা হয়েছে। অবৈধ ভবন ভাঙার নির্দেশ দিয়েছি। সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব ভবন তারা নিজেরা না ভাঙলে, আমাদের নিজস্ব উদ্যোগে ভাঙা হবে। তবে খরচ দিতে হবে ভবন মালিকদের।
[৮] তিনি বলেন, শুক্রবার পর্যন্ত ১৭টি ভবন পরিদর্শন করেছি। এ কাজ অব্যাহত। পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জরিমানা কিন্তু শেষ নয়, অবৈধ ভবন ভাঙতে হবে। সম্পাদনা: হাসান হাফিজ