শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ২৯ আগস্ট, ২০২১, ০১:৪৬ রাত
আপডেট : ২৯ আগস্ট, ২০২১, ০১:৪৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আরিফ জেবতিক: প্রসঙ্গ ই-কমার্স : সহজ হচ্ছে আমজনতাকে দোষারোপ করা

আরিফ জেবতিক: সহজ হচ্ছে আমজনতাকে দোষারোপ করা। তাঁরা লোভী, অলস, বেকুব! মানলাম। কিন্তু যমুনা গ্রুপ ইভ্যালিতে বিনিয়োগ করছে বলে খবর বেরিয়েছে ঠিক ১ মাস আগে। একটাকা দুইটাকা নয়, ১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে বলে রীতিমতো প্রেসবিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে ই-ভ্যালি। এই ১ মাসের মধ্যে যমুনা গ্রুপ কিন্তু এই খবরের কোনো প্রতিবাদ করেনি, কোথাও বলেনি যে এরকম কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, আমরা আগে যাচাই-বাছাই করে তারপর সিদ্ধান্ত জানাব। সাধারণত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য যা মার্কেটকে প্রভাবিত করতে পারে, সেরকম খবর পুরো সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে জানানো হয়। যখন ডিলটা ফাইনাল হয়ে যায়, দুই পক্ষ চুক্তি স্বাক্ষর করে-তখনই সেটা মিডিয়াতে দেওয়া হয়। তা না হলে আগাম ধারণা নিয়ে কেউ সিদ্ধান্ত নিয়ে ভুল করতে পারে। এখানেও তাই হয়েছে।

যমুনা গ্রুপ পুরো একমাস মুখে কলা পুরে বসে ছিলো, এর মাঝে কতো টি-টুয়েন্টি, ফোর টুয়েন্টি অফারের সাইক্লোন-তুফান চলে গেছে, আমার জানা নেই। তবে এই সময়ে যেসব গ্রাহক নতুন করে ই-ভ্যালিতে টাকা ঢুকিয়েছেন তাঁদের মনে নিশ্চয়ই যমুনা গ্রুপের বিনিয়োগের খবর একটি আস্থার পরিবেশ তৈরি করেছিলো। ঠিক একমাস পরে এসে যমুনা গ্রুপ বলছে, ‘অডিট করার পর সিদ্ধান্ত নেবে’। এই কথা তাঁরা পরদিনই কেন বললেন না? কারণ হয়তো এই সময়ে তোলা টাকা থেকে একটা বড় অংশ তাঁরা তাঁদের বকেয়া হিসেবে উদ্ধার করে ফেলেছে। এই দায় আরও বড় বড় কর্পোরেটরা এড়াতে পারে না। যখন দেখেছে যে ৫০ হাজার টাকার টেলিভিশন নিয়ে তাঁর অনলাইন ডিলার ই-ভ্যালি সেটা ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করছে, তখন এদের অধিকাংশই ভুরু কুচকায়নি, বরং স্থানীয় ডিলারদের বারোটা বাজিয়ে সব মালামাল ই-ভ্যালিতে ঢুকিয়েছে। মাশরাফির মতো দেশের একজন বিশাল স্টার প্লেয়ার কাম সংসদ সদস্য এসে ভুঁইফোড় ই-অরেঞ্জের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সেজেছেন।

এখন মুখ চুন করে বলছেন, ‘আমি তো কিছুই জানি না!’ আপনি কোকাকোলা-পেপসির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হতে পারেন হুট করে, কিন্তু কেরানিগঞ্জ সালসা নামে একটা ড্রিংক বাজারে এসে আপনাকে অফার করলেই আপনি রাজি হয়ে যাবেন? এই কেরানিগঞ্জ সালসা নামে লোকজনকে তারা কী খাওয়াচ্ছে একটু যাচাই-বাছাই করবেন না? সরকার গত ৩ বছর এসব ই-কর্মার্সকে ডেকে বলেনি, ‘ভাই, বেশি দামে কিনে কম দামে কীভাবে বিক্রি করছিস একটু বুঝিয়ে দিয়ে যা। তোর বিজনেস মডেলটা একটু বুঝি!’ এভাবে সবাই মিলে চোখ বন্ধ রেখে অথবা নানান ধরনের সুবিধা নিয়ে নিয়ে এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করেছেন যেখানে যদি লস হয় তাহলে আমজনতারই হবে। তাঁরা লোভী, তাঁরা অলস, তাঁরা হুজুগে! আর সেই আমজনতাকে যে এখানে ডেকে নিয়ে এলেন, তাঁদের যে রক্ষা করতে সময় মতো ব্যবস্থা নিলেন না, তাঁরা কারা? তারা স্রেফ বাটপার । লেখক : অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়