শিমুল মাহমুদ: [২] শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন শেষে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এ কথা বলেন।
[৩] তিনি বলেন, আজকে চারদিকে কোনো ন্যায়-অন্যায় নেই। কোনো সত্য নেই। এদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান একজন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তাকে প্রতিনিয়ত অপমান করা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত তাকে নানাভাবে কটুক্তি করা হচ্ছে।
[৪] বলা হচ্ছে, তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন কিনা তার কোনো প্রমাণ নেই। কে বলছেন? স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। এটা কি তিনি বলতে পারেন? দেশের বরেণ্য একজন মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডার স্বাধীনতার ঘোষক তাকে নিয়ে প্রতিনিয়ত এই ধরনের কথা বলা হচ্ছে। এটা অসার বাচলতা।
[৫] রিজভী বলেন, আজকে যারা সত্যিকার অর্থে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়নি বাংলাদেশে অবস্থান করেছেন, ঢাকায় অবস্থান করছেন পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে অথচ তারাই আজকে বরেণ্য মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে এ ধরনের কথা বলছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
[৬] সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, আমাদের জাতীয় জীবনে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান অসীম। আমরা যখন মিছিল করি যখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি তখনো আমাদের প্রেরণা দেন তিনি। আমরা তার কবিতা তার গান, তার লেখনি সব কিছুতে আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে। আমরা যখন শান্তির কথা বলি একে অপরের সঙ্গে মমত্বের কথা বলি তখনও কাজী নজরুল ইসলাম অনবদ্য মহিমাময় প্রেরণা যোগায়। তাই জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তার আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
[৭] এসময় বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ড.ওবায়দুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য আকরামুল হাসান মিন্টু, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: মিনহাজুল আবেদীন।