আব্দুল্লাহ মামুন, সমীরণ রায়: [২] শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বুলিং রোধে কেন একটি জাতীয় নীতিমালা করতে নির্দেশ দেওয়া হবে না কেন জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বুলিং প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিস্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
[৩] বুলিং এর শিকার হয়ে ঢাকার বনশ্রী শাখার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আজওয়াদ আহনাফ করিমের মৃত্যুর অভিযোগ তদন্ত করতে ঢাকার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[৪] রোববার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালত অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেছেন। শিক্ষা, আইন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব, ঢাকার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, সংশ্লিস্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষসহ সাতজনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। গত ১৬ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. তানভীর আহমেদের করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেন আদালত। আদালতে রিট আবেদনকারী নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
[৫] মোটা বলে সহপাঠী ও শিক্ষকের লাঞ্ছনার শিকার মৃত কিশোরের পরিবার যা বলছে’ শিরোনামে গত ৮ জুলাই বিবিসি বাংলায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকায় অ্যানোরেক্সিয়া এবং বুলিমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক কিশোরের মৃত্যুর পর তার পরিবার অভিযোগ করেছে, স্কুলের সহপাঠী ও শিক্ষকদের বুলিংয়ের শিকার হওয়ার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।
আপনার মতামত লিখুন :