মাসুদ আলম: [২] সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে চিনি কেজিতে ৫ টাকা, ডাল ৫ টাকা ও তেল ৫ টাকা বেড়ছে। যদিও গত সপ্তাহে বাড়তি দামে বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচের দাম কমে এখন প্রতি কেজি ৮০-১০০ টাকায় নেমেছে। এছাড়া স্থিতিশীল রয়েছে পেঁয়াজ ও রসুন এবং সবজির দাম। প্রধান প্রধান এসব পণ্যের দাম বাড়ায় অস্বস্তিতে নিম্ন-মধ্য আয়ের মানুষ।
[৩] শুক্রবার (২০ আগস্ট) রাজধানীর বাজার গুলো ঘুরে দেখা যায়, বাজার বেধে সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা ব্যবধান রয়েছে। সর্বনিন্ম ৩০ থেকে ৪০ টাকা দামে সবজি বিক্রি হয়। তবে বাজারে অধিকাংশ সবজি কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। বয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয় ১৩০ টাকায়।
[৪] ভাটারা বোটঘাটের হৃদয় জেনারেল স্টোরের মালিক এলেন বলেন, ডাল-তেল-চিনির আমদানির খরচ বেড়ে যাওয়ার অজুহাতে মিল মালিকরা দাম বাড়িয়েছেন। ফলে কেজিতে ৫ টাকা বেশি বিক্রি করতে হচ্ছে।এই দামের লাগাম টানা দরকার। কারণ সামনের দিনগুলোতে দাম আরও বাড়তে পারে। অন্যদিকে মিল মালিকরা বলছেন, বিশ্ববাজারে দাম বেড়েছে।
[৫] ভাটারা কুড়িল বিশ্বরোডের বাসিন্দা আবু বক্কর সিদ্দিক মানিক বলেন, করোনার মধ্যে অধিকাংশ মানুষের আয় কমেছে। অনেকে আবার চাকরিও হারিয়েছে। এভাবে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকলে নিম্ন-মধ্যবিত্তরা কি খেয়ে বাঁচবে।নিয়মিত বাজার মনিটরিং না থাকায় ব্যবসীয়রা ইচ্ছা মতো দাম বাড়াচ্ছে। আর শুক্রবার ক্রেতাদের চাপ থাকায় সব ধরনের পণ্যের দাম তুলনামূলক বেশি দেখা যায়। সম্পাদনা: মিনহাজুল আবেদীন।