শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১৯ আগস্ট, ২০২১, ০৬:২২ বিকাল
আপডেট : ১৯ আগস্ট, ২০২১, ০৬:২২ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ১২০ বছর আগে অলিম্পিকে ক্রিকেট দ্বৈরথ

স্পোর্টস ডেস্ক: [২] ১২০ বছর আগে অলিম্পিকে ক্রিকেট দ্বৈরথ ব্যাট আর বলের মধুর এ লড়াই আজ যেখানে পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত, সেখানে কিনা অলিম্পিকের মতো এত জাঁকজমকপূর্ণ আসরে ক্রিকেটের মত ইভেন্টের কোনো জায়গা হয় না।

[৩] পুরাতন নিয়ম এবং সময়ের পরিক্রমায় পুনরায় জাপানের টোকিওতে নানা ইভেন্টের পসরা সাজিয়ে বসেছিল এবারের ২০২০ অলিম্পিক আসর। টোকিওতে অনুষ্ঠিত অলিম্পিক গেমসে রেকর্ড সংখ্যক ৩৩টি প্রতিযোগিতা এবং ৩৩৯টি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাপানের ৪২টি ভেন্যুতে এসব প্রতিযোগিতা হয়েছে। কিন্তু, ক্রিকেটপ্রেমীদের মন নেই বললেই চলে বিশ্বের মস্ত বড় এই ক্রীড়াক্ষেত্রে। কারণটা তো সকলেরই জানা, এখানে নেই যে তাদের প্রিয় খেলা ‘ক্রিকেট’। কিন্তু এই ক্রিকেট যখন এতোটা জাঁকিয়ে বসেনি দুনিয়াজুড়ে, তখনই একবার অলিম্পিকে জায়গা করে নিয়েছিল বর্তমান দর্শকপ্রিয় খেলাটি।

[৪] আজ থেকে ১২০ বছর আগের ঘটনা সেটি। ১৯০০ সালের প্যারিস অলিম্পিকে প্রথম শুরু হলো ক্রিকেট খেলা। ভাবছেন নিশ্চয়ই, ভারি একটা আষাঢ়ে গল্প বলতে বসেছি। কারণ, অলিম্পিকে যে ক্রিকেট খেলা হয় না, একথা তো সবাই জানেন। কিন্তু এখানে একটি কথাও কাল্পনিক নয়। সত্যিই ১৯০০ সালের ফ্রান্সের প্যারিস অলিম্পিকে বসেছিল ক্রিকেটের আসর। আর সেটাই প্রথম এবং শেষবার। এরপর আর কখনো ক্রিকেট খেলা হয়নি অলিম্পিকে। তবে সেই ১৯০০ সালে কিন্তু ক্রিকেট মানে ছিল টেস্ট ক্রিকেট। যাতে সময়ের কোনো সুস্পষ্ট হিসাব নেই। এমন একটা খেলার আয়োজন অলিম্পিকের জন্য বেশ কঠিন তো বটেই। সব ভেবেচিন্তে খেলার নিয়ম-কানুন খানিকটা পরিবর্তন করেছিল কর্তৃপক্ষ।

[৫] ১৮৯৬ সালে গ্রিস অলিম্পিকে সেজন্যই বসেছিল ডেমনস্ট্রেশন ম্যাচ। সব মেনে স্থির করা হয়েছিল দুদিনের খেলা হবে অলিম্পিকে। প্রতিটি দল দুটি করে ইনিংস ব্যাট করার সুযোগ পাবে। ম্যাচটিতে দুই দলে থাকবে ১১ জন করে খেলোয়াড়। তবে অধিনায়কদের পারস্পরিক চুক্তি দ্বারা এটি ১২ জনে বাড়ানো হয়েছিল, এটি এমন একটি পদক্ষেপ ছিল, যা স্কোরকার্ড প্রিন্টাররা কখনোই প্রত্যাশা করেননি। দিনটি ছিল ১৯ আগস্ট, রোববার। অলিম্পিকের সাইক্লিং মাঠের একটি ভেন্যুতে এ দিন ফাইনালে মুখোমুখি হয় গ্রেট ব্রিটেন এবং ফ্রান্স।

[৬] তবে কোনও দলই জাতীয়ভাবে নির্বাচিত হয়নি। ব্রিটিশ পক্ষটি ছিল একটি সফরকারী ক্লাব, ডিভন এবং সমারসেট ওয়ান্ডারার্স ওরফে ডিভন কাউন্টি ওয়ান্ডারার্স। আর ফরাসি দল ছিল ফরাসি অ্যাথলেটিক ক্লাব ইউনিয়ন, মূলত প্যারিসে বসবাসরত ব্রিটিশ প্রবাসীদের নিয়ে।

[৭] ম্যাচে গ্রেট ব্রিটেন প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ১১৭ রানে থামে তাদের প্রথম ইনিংস। আর ফ্রান্স নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪৮ রানেই অলআউট হয়ে যায়। সে দিন গ্রেট ব্রিটেনের হয়ে ক্রিশ্চিয়ান নেন সর্বোচ্চ ৭টি উইকেট। উভয় পক্ষের প্রথম ইনিংস শেষ হওয়ার পর ৫০ মিনিট খেলা বন্ধ ছিল। খেলা পুনরায় বিকেল ৫টায় মাঠে গড়ায় এবং সেই সাথে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে মাঠে নামে গ্রেট ব্রিটেন।

[৮] সেই সঙ্গে প্রথম দিন শেষ করার আগে ৩৯ রান সংগ্রহ করে মাঠ ছাড়েন ব্রিটেনের ব্যাটাররা। পরের দিন সকালে অবশ্য গ্রেট ব্রিটেনের ব্যাটিংয়ে উন্নতি হয়েছিল। তারা দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৫ রান যোগ করে ৫ উইকেট হারিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে। গ্রেট ব্রিটেনের হয়ে বিচক্রাফ্ট এবং বভারম্যান পেয়েছিলেন অর্ধশতকের দেখা। বভারম্যান করেছিলেন দলীয় সর্বোচ্চ ৫৯ রান। সেই সুবাদে ফরাসিদের জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৮৫ রান। প্রথম ইনিংসের মত এবারও ফরাসিদের ব্যাটসম্যানরা ছিলেন যাওয়া-আশার মিছিলে। মাত্র ২৬ রান তুলতেই তাদের সবগুলো উইকেটের পতন ঘটে। সেই সঙ্গে ম্যাচে ১৫৮ রানে জয়ী হয় গ্রেট ব্রিটেন। যে দলটি বর্তমানে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল নামে পরিচিতি। গ্রেট ব্রিটেনের বোলারদের মধ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে টোলার নেন সর্বোচ্চ ৭টি উইকেট।

[৯] এদিকে সোনা জিতলেও সেই পুরস্কার হাতে পেতে ১২ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল ব্রিটেনকে। ১৯১২ সালে গ্রেট ব্রিটেনকে সোনা এবং ফ্রান্সকে সিলভার পদক দেওয়া হয়। তবে পূর্বে জেতার শুভদিনে ব্রিটেনকে সিলভার এবং ফ্রান্সকে ব্রোঞ্জ পদক দেওয়া হয়েছিল।

[১০] এর পরের আসরে সেন্ট লুইতে অনুষ্ঠিত ১৯০৪ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের তফসিলে ক্রিকেট প্রতিযোগিতাটি সুযোগ-সুবিধার অভাবের কারণে সংক্ষিপ্ত নোটিশের মাধ্যমে বাতিল করা হয়েছিল এবং ১৯০০ সালের পরে এই ক্রিকেট খেলাটি আর অলিম্পিক গেমসে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। আর এভাবেই অলিম্পিক থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায় ক্রিকেট। রাইজিংবিডি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়