ইমরুল শাহেদ: ‘বাংলার দর্পণ’, ‘পুষ্প আলো’, সবুজ ছায়া এবং মুক্তি প্রতিক্ষীত ‘রোহিঙ্গা’ ছবি নিয়েই নায়িকা আরশি হোসেনের বর্তমান জগত। রোহিঙ্গ ছবিটি নির্মাণ করেছেন ইস্যূভিত্তিক চলচ্চিত্রের নির্মাতা অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড। তিনি বলেছেন ‘ছবি রেডি আছে। এতোদিন আমি লকডাউনের কারণে কোনো উদ্যোগ নিতে পারিনি। এখন যত দ্রæত সম্ভব সেন্সরে যাবে।’ আরশি হোসেনের ইতোমধ্যে ‘সত্যিকারের মানুষ’ এবং ‘বাজে ছেলে: দি লোফার’ নামে দুটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। তিনি আশা করছেন, রোহিঙ্গা ছবিটি তার কেরিয়ারে মাইলস্টোন হয়ে থাকবে। আরশি বলেছেন, ‘আমি ধীরে-সুস্থে এগিয়ে যাই। ক্যারিয়ারকে দূর্বল করে গড়ে তুলতে চাই না।’
প্রশ্ন: ধীরে সুস্থে কেন?
আরশি: অই যে বললাম কেরিয়ারকে দূর্বল করতে চাই না। আমি মনে করি রোহিঙ্গা ছবিতে আমার চরিত্রটি জয়গুন, নবিতুন এবং গোলাপির মতো ভাস্বর হয়ে থাকবে। ডায়মÐ ভাই অনেক গবেষণা, অনেক যতœ নিয়ে ছবিটি নির্মাণ করেছেন। কারণ ছবিটি আগামী প্রজন্মের জন্য একটি ঐতিহাসিক দলিল হয়ে থাকবে।
প্রশ্ন: আপনার এই আন্তরিকতা নির্মাতারা কতোটা কাজে লাগাতে পারছেন?
আরশি: আমার আগ্রহ এবং আন্তরিকতা নির্মাতারা কতোটা কিভাবে কাজে লাগাবেন সেটা তাদের বিষয়। তবে চলচ্চিত্রে অনেকেই আসেন, যাদের প্রায় সকলের পেছনেই কোনো না কোনো উদ্যোক্তা থাকেন। আমার পেছনে কোনো উদ্যোক্তা নেই। আমি সাময়িক সময়ের জন্য প্রতিষ্ঠিত হতে চাই না। সব সময়ের শিল্পী হয়ে থাকতে চাই। দু’একটি ছবি করে দৃশ্যপট থেকে হারিয়ে যেতে চাই না।
প্রশ্ন: টিকে থাকার জন্য ক্যারিয়ার নিয়ে আপনি কি উদ্যোগ নিয়েছেন?
আরশি: আমার তো উদ্যোগ নেওয়ার কিছু নেই। আমাকে কাজে লাগানোর বিষয়টি নির্ভর করে নির্মাতাদের উপর। তারাই শিল্পী সৃষ্টি করেন। সমস্যা হলো বেশির ভাগ নির্মাতাই তারকাদের নিয়ে ছবি বানাতে চান। সবাই যদি তারকা নিয়ে ছবি বানাতে চান তাহলে আমরা যারা ক্যারিয়ার যোদ্ধা আছি, তারা যাব কোথায়? একজন দক্ষ নির্মাতা কখনো তারকার জন্য অপেক্ষা করেন না। তারা ভালোভাবেই উপলব্ধি করেন যে, এখন যারা তারকা, তারাওতো এক সময় আমাদের মতোই নতুন ছিলেন। নতুন থেকেই তো তারকা তৈরি হয়। একজন শিল্পী যখন ডিপ্রেশনে ভোগে, তখন বুঝতে হবে এজন্য অন্যান্যের মধ্যে নির্মাতারাও কম দায়ি নয়।’
আপনার মতামত লিখুন :