এম কে আই জাবেদ: [২] উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন টনকী ইউনিয়নের বাইড়া গ্রামের চাঞ্চল্যকর ১৯ দিনের শিশু রাবেয়া বসরী হত্যার রহস্য অবশেষে উন্মোচন হয়েছে। শিশুকন্যা হত্যার দায় স্বীকার করে ১৪ আগস্ট শনিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম রোকেয়া আক্তারের আদালতে ওই স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দিয়েছেন মা রহিমা আক্তার রত্না (২০)।
[৩] নিহত শিশুর দাদা বাচ্চু মিয়া বলেন, বড় ছেলে মুজিবুর রহমান ও মেজো ছেলে সজিবুর রহমান প্রবাসে থাকেন। বড় ছেলে ঠিকমতো বেতন পান না। মেজো ছেলে সড়ক দুর্ঘটনায় দুুুুই পা হারিয়ে বিদেশের হাসপাতালে আছে। অসচ্ছল সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে আমি এখনো মাঠে কাজ করি। অন্য দিনের মতো গত বৃহস্পতিবার জমিতে কাজ করতে যাই। বাড়িতে এসে শুনি, ১৯ দিনের নাতনি রাবেয়া বসরীকে পাওয়া যাচ্ছে না।
[৪] বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে থানায় জিডি করা হয়েছিল। পরদিন শুক্রবার দুপুরে বাড়ির পাশে খালের পানিতে রাবেয়ার লাশ ভেসে ওঠে। খবর পেয়ে পুলিশ বাড়িতে আসে এবং লাশের সঙ্গে আমাদের সবাইকে থানায় নিয়ে যায়। সবার সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ শেষে আমাদের ছেড়ে দিলেও পুত্রবধূ রহিমা আক্তার রত্না অসংলগ্ন কথায় তাকে থানায় রেখে দেয় পুলিশ। তবে কয়েক দিন ধরে রত্না একা বসে থাকত এবং অস্বাভাবিক চলাফেরা করত। কী হয়েছে জিজ্ঞেস করলেও উত্তর দিত না।
[৫] মুরাদনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান বলেন, শুরুতেই শিশুটির মা রত্না একেক সময় একেক ধরনের কথা বলছিলেন। তার অস্থিরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। পরে তিনি অকপটে স্বীকার করেন, নানা টেনশনে পড়ে শিশু কন্যাকে পানিতে ফেলে দিয়েছেন। শনিবারে কুমিল্লা সিঃ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকর করেছেন।