আকতার বানু আলপনা: নায়ক প্রসেনজিৎকে একবার প্রশ্ন করা হলো, ‘আপনি সবসময়ই ফিজিক্যালি এতো ফিট থাকেন কীভাবে’? উত্তরে প্রসেনজিৎ বললো, ‘পেটের দায়ে রে ভাই, স্রেফ পেটের দায়ে নিজেকে ফিট রাখি। নাহলে কেউ কাজ দেবে না’। মোটামুটি তিন শ্রেণির মানুষ নিজেদেরকে ফিট রাখেন।
যথা- [১] শারীরিক সৌন্দর্য বা ফিজিক্যাল ফিটনেসই যাদের আয়-রুজির একমাত্র মাধ্যম, যাদেরকে নিয়মিত নানা অনুষ্ঠানে যেতে হয়, যারা এমন চাকরি বা কাজ করেন, যেখানে শারীরিক সৌন্দর্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়... এসব লোকেরা অনেকটা বাধ্য হয়ে নানা কসরত করে নিজেদেরকে ফিট রাখেন।
[২] যারা নানা রোগে আক্রান্ত, তারাও তাদের সেসব রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বাধ্য হয়েই নিজেদের ফিট রাখতে ডায়েট কন্ট্রোল ও ব্যায়াম করেন।
[৩] যারা খুউউউবই সৌন্দর্য সচেতন মানুষ এবং বুড়ো হতে চাননা বা নিজের সৌন্দর্যহানি হতে দিতে চান না এবং যারা দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে চান, তারা নানাভাবে নিজেদের সৌন্দর্য ধরে রাখার বা শরীর ফিট রাখার চেষ্টা করেন। সৌভাগ্যজনকভাবে আমি এই তিন শ্রেণির কোনটাতেই পড়ি না। ফলে আমি নিজেকে ফিট বানানোর জন্য কঠোর কোনো চেষ্টাই বেশিদিন করতে পারি না। ফলে আমার অবস্থা সদাসর্বদা তথৈবচ।
তবে অন্যদের ফিট থাকতে সাহায্য করার জন্য আমি বিশেষ একটা কাজ করি। সেটা হলো, আমি আমার বাড়ির সামনের রাস্তাটা সবসময়ই পরিষ্কার রাখি, যাতে অসংখ্য মানুষ ওই রাস্তা দিয়ে রোজ আরামে হেঁটে যেতে বা আসতে পারে। সেজন্য রোজ ভোরবেলা উঠে আমি নিজে রাস্তাটা ঝাড়ু দিই। তাতেই আমার কিছুটা ব্যায়াম হয়। তাছাড়া অন্যদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখি বলেই বোধহয় সৃষ্টিকর্তা আমারও স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখেন এবং আমাকে কোনো বড় ধরনের রোগবালাই দেন না।
মর্যাল অফ দ্য স্টোরি: আপনি যেকোনোভাবে অন্যের উপকার করলে তা কোনো না কোনোভাবে আপনার নিজেরও উপকারে লাগে। তাই সুযোগ পেলেই অন্যের উপকার করুন এবং নিজেও উপকৃত হোন। মনে রাখবেন, কখনো কখনো কারো সাথে কিছু সময় আন্তরিক কথাবার্তা বললেও তার উপকার করা হয়। ফেসবুক থেকে